ওয়েব ডেস্ক: কলকাতার রাস্তায় এবার পণ্য পরিবহণেও ট্রামকে কাজে লাগাবে রাজ্য। হাওড়া থেকে শিয়ালদা রুটে চলবে পণ্যবাহী ট্রাম। একইসঙ্গে পর্যটনের আকর্ষণ বাড়াতেও নতুন পরিকল্পনা করছে রাজ্য। এ ব্যাপারে সমীক্ষা চালাবে বিশ্বব্যাঙ্ক।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শুধু যাত্রীই নয়, এবার পণ্য পরিবহণেও কাজে লাগানো হবে কলকাতার এই অন্যতম ঐতিহ্যকে। হাওড়া থেকে শিয়ালদা এবং শিয়ালদা থেকে হাওড়া। এই রুটে পণ্য পরিবহণে ব্যবহার করা হবে ট্রামকে।


কলকাতার রাস্তা থেকে ট্রাম তুলে দেওয়া উচিত কি নয়, তা নিয়ে নানা মুণির নানা মত। তবে ঐতিহ্য আর পরিবেশের কথা মাথায় রেখে রাজ্য সরকার ট্রাম চালানোরই পক্ষে। বরং ট্রামকে ব্যবহার করে কীভাবে আরও বেশি দেশি-বিদেশি পর্যটক টানা যায়, সেই পরিকল্পনাও শুরু হয়ে গিয়েছে।


আরও পড়ুন- প্রিন্সেপ ঘাট কাণ্ডে অবশেষে অভিযোগ দায়ের রৌণকের পরিবারের


ময়দান চত্বর, ভিক্টোরিয়া, তারামণ্ডল, চিড়িয়াখানার মতো পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুগুলিকে ঘিরে জয় রাইডের ব্যবস্থা করতে চায় সরকার। এর জন্য পৃথক টিকিটের ব্যবস্থা করা হবে।


ট্রামের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বড় অভিযোগ, শহরের গতি কমিয়ে দেয় এই যান। সেই কারণেই ঘিঞ্জি বা জনবহুল রাস্তা থেকে ট্রাম রুট তুলে দেওয়ার কথা ভাবছে সরকার। নিমতলা, শ্যামবাজার, হাতিবাগান, কলেজস্ট্রিটের মতো জনবহুল এলাকা থেকে ট্রাম সরিয়ে নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে। তার পরিবর্তে তুলনামূলক ফাঁকা এলাকায় নতুন ট্রামলাইন পাতা হবে।


আরও পড়ুন- ঠাকুরপুকুরের একটি মানসিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে হানা দিয়ে দশজন শিশু উদ্ধার


সল্টলেকের সেক্টর ফাইভ ও ব্রডওয়েতে ট্রাম চালানো যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বাইপাস, গড়িয়া, নিউটাউন সহ আর কোথায় ট্রামলাইন পাতা যায়, সে ব্যাপারে সমীক্ষা চালাবে বিশ্বব্যাঙ্ক। শুক্রবার বিশ্বব্যাঙ্কের একটি প্রতিনিধি দল মুখ্যসচিব বাসুদেব বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করে। প্রয়োজনের তুলনায় কলকাতার রাস্তা অনেক কম। সেই কারণেই তিলোত্তমাকে কীভাবে আরও গতিশীল করা যায়, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন তাঁরা।