Bus Fare: ভাড়া বাড়ছে না; `বেসরকারি বাসে চার্ট ঝোলাতে হবে`, জানালেন পরিবহণমন্ত্রী

মৌমিতা  চক্রবর্তী: হাইকোর্টে ভর্ৎসনার মুখে রাজ্য সরকার। এবার কি তাহলে বাসের ভাড়া বাড়ছে? 'ভাড়া বাড়াতে আগ্রহী নই', স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন পরিবহণমন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। বললেন, 'বেসরকারি বাসে ভাড়া চার্ট ঝোলানো হবে'। 

খাতা -কলমে ভাড়া বাড়েনি। তাহলে বেসরকারি বাসে উঠলেই ৭ টাকার বদলে কেন ১০ টাকা দিতে হচ্ছে যাত্রীদের? জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয় কলকাতা হাইকোর্টে। নির্দিষ্ট মেনে বাস ও মিনি বাসে ভাড়া নেওয়া হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে রাজ্য়কে হলফনামা দিতে নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি  প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে সেই হলনামা জমা দিতে পারেনি পরিবহণ দফতর। স্রেফ ভর্ৎসনা নয়, রাজ্যকে ১০ হাজার জরিমানা করেছে হাইকোর্ট। বুধবার মামলার শুনানিতে রাজ্য়ের কাছে আদালত জানতে চায়, 'মিনি বাস ও বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে কেন মির্দিষ্ট সময়ে কেন হলফনামা দিতে পারল পরিবহণ দফতর? তাদের কাছে কি পর্যাপ্ত তথ্য় নেই'?  

তখন লাগাতার পেট্রোপণ্যের দাম বাড়ছিল। আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছিলেন বেসরকারি বাসের মালিকরা। গত বছরের শেষের দিকে ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে রাজ্য় সরকারের দ্বারস্থ হয়েছিলেন তাঁরা। এমনকী, বাস মালিক সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কিন্তু বাসের ভাড়া বাড়ানো হয়নি।

কেন? রাজ্যের বক্তব্য ছিল, বাসের ভাড়া বাড়লে সাধারণ মানুষের উপর চাপ বাড়বে। কেন্দ্র পেট্রোল ডিজেলে দাম বাড়াবে, আর রাজ্যে বাসের ভাড়া বাড়বে, এটা সমাধান নয়। বরং খরচ কমাতে পুরানো ডিজেলচালিত বাসকে ব্যাটারিচালিত বাসে রূপান্তরিত করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। বৈঠকে তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী বলেন, এই পরিকল্পনা রূপায়ণের জন্য বিশেষ প্য়াকেজ দেওয়া হবে বেসরকারি বাস মালিকদের। সূত্রের খবর, যে দুটি ডিজেলচালিত বাসকে ইতিমধ্যেই ব্যাটারিচালিত বাসে রূপান্তরিত করা হয়েছে, সেই দুটি বাস কিন্তু যথেষ্ট ভালো পরিষেবা দিচ্ছে। সেকারণেই এবার এই পরিকল্পনা আরও বড় করে রূপায়ণের ভাবনা।

এর আগে, শহরের একাধিক রুটে যখন বর্ধিত ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ ওঠেছিল, তখন কড়া পদক্ষেপ করেছিল পরিবহণ দফতর। তৎকালীন পরিবহণমন্ত্রী বলেছিলেন, 'কোনও যাত্রী বেশি ভাড়ার টিকিট নিয়ে থানায় এফআইআর করলে সেই বাসের পারমিট বাতিল করা হবে'। শুধু তাই নয়, ৬ বাস সংগঠনকে কড়া চিঠিও দিয়েছিল পাবলিক ভেহিক্যালস দফতরের অফিস অব ডিরেক্টর।