ওয়েব ডেস্ক : কাটা পা হাতে শহরের হাসপাতালে, হাসপাতালে ঘুরলেন কুলতলির সুনীল পাত্রের আত্মীয়-পরিজনরা। কুলতলি থেকে কলকাতা। বেসরকারি থেকে সরকারি। চিকিত্সা করাতে গিয়ে দিনভর হয়রনি। সাতসকালে পথ দুর্ঘটনায় পা বাদ পড়ে সুনীল পাত্রের। প্যাকেট বন্দি সেই পা জোড়া লাগানোর আপ্রাণ চেষ্টা  পরিজনদের। দুই বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে SSKM -এ দীর্ঘ অপেক্ষা। শেষে হাসাপাতলে ভর্তি হলেন সুনীল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মৈপীঠের বাসিন্দা সুনীল পাত্র। পেশায় কাঁকড়া ব্যবসায়ী। কুলতলির বাজারে আসার সময় লরি ধাক্কা মারে তাঁর বাইকে। ঘটনাস্থলেই পা কাটা পড়ে সুনীল বাবুর। কোনও ভাবে তাঁকে উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় জামতলা গ্রামীণ হাসপাতালে। কাটা পা অবশ্য তখনও গড়াগড়ি খাচ্ছে রাস্তায়। শেষে আনা হয় কাটা পা। জামতলা হাসপাতাল পাঠিয়ে দেয় কলকাতায়।


আরও পড়ুন- মেডিক্যালে শিশুচুরির ঘটনায় কড়া পদক্ষেপ মুখ্যমন্ত্রীর


সুনীলের কাটা পা জোড়া লাগবে এই আশায় কলকাতায়আসেন পরিবারের লোক। কিন্তু সেখানেই শুরু হেনস্থার নতুন অধ্যায়। প্রথমে তাঁরা যান সল্টলেকের হার্ট ক্লিনিকে। সেখান থেকে সাফ জানানো হয়, এ চিকিত্সা তাঁরা করেন না। পরের গন্তব্য CMRI- হাসপাতাল। সেখানে শুরুতেই হাতে ধরিয়ে দেওয়া হল বিরাট খরচের লিস্ট। ভর্তি হতে ৫০ হাজার, পরে আরও দু'লাখ। অভিযোগ, অত টাকা দেওয়ার ক্ষমতা নেই জানাতে, সোজা দরজা দেখিয়ে দেওয়া হয় পরিজনদের। অ্যাম্বুল্যান্সে তখন কাতরাচ্ছেন সুনীল।


পরবর্তী গন্তব্য সরকারি হাসপাতাল। প্রথম RG কর হাসপাতালের কথা মনে হলেও সুনীলকে নিয়ে যাওয়া হয় SSKM-এ। সঙ্গে মন্ত্রীর চিঠি। তার পরেও অপেক্ষা। সেই বেলা পৌঁনে চারটে থেকে টানা অপেক্ষা। প্রায় ঘণ্টা পাঁচেক পর শেষ পর্যন্ত ভর্তি নেওয়া হল SSKM  হাসপাতালে।


হাসপাতালে ভর্তি হয়েও দূর হয়নি সমস্যা। সুনীল পাত্রের চিকিত্সা নিয়েও তৈরি হয় জট। অর্থোপেডিক না সার্জিকাল কোন বিভাগ অপারেশন করবে তা নিয়ে চলে টানাপোড়েন। প্রেসকিপশন হাতে ওয়ার্ডে-ওয়ার্ডে ঘুরলেন রোগীর আত্মীয়রা। চিকিত্সকদের সঙ্গে বচসাও বেধে যায় তাদের।