বিশ্বের দরবারে এগোচ্ছে আদিবাসীরাও
আদিবাসী মানেই পিছনের সারির মানুষ। সব সযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পাল্টাচ্ছে এই ছবিটা। সরকারের সহযোগিতায় আদিবাসীরা আর পিছিয়ে নেই। এগোচ্ছে তারাও। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি আলাদা দফতর তৈরি করেছে ২০১৩ সালে। তোইরি হয়েছে ``ট্রাইবস অ্যাডভাইসরি কাঊন্সিল`।
ওয়েব ডেস্ক: আদিবাসী মানেই পিছনের সারির মানুষ। সব সযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে পাল্টাচ্ছে এই ছবিটা। সরকারের সহযোগিতায় আদিবাসীরা আর পিছিয়ে নেই। এগোচ্ছে তারাও। আদিবাসীদের উন্নয়নের জন্য পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি আলাদা দফতর তৈরি করেছে ২০১৩ সালে। তোইরি হয়েছে ''ট্রাইবস অ্যাডভাইসরি কাঊন্সিল'।
তফশিলিদের স্কলারশিপের পরিমাণও আগের তুলনায় বেড়েছে। ২০০৭ থেকে ২০১১ পর্যন্ত যা ছিল ১৫,৩১,৪৪৪ বর্তমানে তার পরিমাণ ১৭,৭৫,৯৪১। ২০১১ থেক ২০১৫ সালের মধ্যে ২,৯৯,১৯টি কাস্ট সার্টিফিকেট দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, এই সুবিধার ডিজিটালাইসেশনও করা হয়েছে। এবার থেকে অন লাইনেই পাওয়া যাবে কাস্ট সার্টিফিকেট। কমে গেছে সময়সীমাও। এখন আর লাগবে না ৮ সপ্তাহ। আবেদনের ৪ সপ্তাহের মধ্যেই পাওয়া যাবে কাস্ট সার্টিফিকেট।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের পক্ষ থেকে আরও নানারকম সুবিধা পাচ্ছে আদিবাসী সম্প্রদায়। তাদের জন্য চালু করা হয়েছে 'শিক্ষাশ্রী'। এই প্রকল্পের সুবিধা পাবে পঞ্চম থেক অষ্টম শ্রেণীর তফশিলি ছাত্র-ছাত্রীরা। তফশিলি ছাত্রীদের জন্য রয়েছে সাইকেল প্রদানের ব্যবস্থা। গত চার বছরে ৯৫ হাজার সাইকেল দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এছাড়াও বয়স্কদের জন্য রয়েছে পেনসনের সুবিধা। বিপিএল তালকা ভুক্ত বয়স্করা ৬০ বছরের পর থেকে প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে পেনসন পাবেন। আদিবাসী সম্প্রদায়ের মেধাবীছাত্রদের জন্য সরকার বিশেষ কোচিংয়ের ব্যবস্থা করেছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সহযোগিতায় তফশিলি জাতির আইএএস ও ডব্লুবিসিএস পদপ্রার্থীরা দিল্লিতে প্রশিক্ষণের বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে। নানারকম সযোগ সুবিধা ছাড়াও এদের কর্মসংস্থানও করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। এ পর্যন্ত প্রায় ৫ হাজার আদিবাসীর কর্মসংস্থান করা হয়েছে।