ওয়েব ডেস্ক: তাপস পালের গ্রেফতারিতেও যা হয়নি। সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে তাই-ই হল। আর এরাজ্যে নয়। এবার লড়াই একেবারে দিল্লিতে। জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। যেমন বলা তেমনই কাজ। নেত্রীর নির্দেশে মঙ্গলবারই দিল্লি পৌছে গেলেন তৃণমূল সাংসদরা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 


মুখ্যমন্ত্রীর কথা, তাঁর শরীরী ভাষাতেই স্পষ্ট জল গড়াবে অনেক দূর। তাপস পালকে দিয়ে শুরু। আর এবার সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নোট বাতিল কাণ্ডে আন্দোলনের পরিণামেই গ্রেফতার দলীয় সাংসদ। এভাবেই  প্রতিহিংসা মেটাচ্ছে বিজেপি। তাপস পালকে সিবিআই হেফাজতে নেওয়ার পরেই  এই অভিযোগে সরব হয় রাজ্যের শাসক দল। আর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারিতে বাঁধ ভাঙল। মুখ্যমন্ত্রী নিজে জানিয়ে দিলেন, এবার যুদ্ধ হবে। আর রাজ্যে নয়, রাজ্যের গণ্ডি পেরিয়ে এবার  জাতীয়স্তরে পৌছবে তৃণমূলের আন্দোলনের ঢেউ।


 


নোট বাতিল কাণ্ডে দিল্লি, বিহার, উত্তরপ্রদেশে সভা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের এককাট্টা করে রাজধানীতে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন। তারপর আবার দিল্লি সফর মুখ্যমন্ত্রীর। ১০ জানুয়ারি দিল্লি যাবেন বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার রাজনীতিকে হাতিয়ার করে।


 


তৃণমূলের ঘরে সিবিআই হানা নতুন নয়। মদন মিত্রের গ্রেফতারি, মুকুল রায়ের হাজিরার সময়ও রাজ্যে ক্ষমতায় ছিল তৃণমূল। কিন্তু একে প্রথম সরকার। তায় দ্বিতীয়বার ভোটে জিতে রাজ্যপাট দখলের লক্ষ্য। তাই ঘর গোছাতেই বেশি ব্যস্ত ছিল ঘাসফুল শিবির। মদন মিত্রর গ্রেফতারির প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়নি তা নয়। সে সমাবেশে মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন না তেমনও নয়। তবে সে সবই নেহাতই যেন ছিল নিয়মরক্ষার সামিল।


 


এখন পরিস্থিতি বদলেছে। রাজ্যে দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল। এখন দিল্লিই যে তাঁর পাখির চোখ, নোট বাতিল ইস্যুকে সামনে রেখে বারেবারেই সেকথা বুঝিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তারওপর সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারি। চোখ বন্ধ করে বলা যেতে পারে এপর্যন্ত তৃণমূলের সবথেকে বড় গ্রেফতারির ঘটনা ঘটল মঙ্গলবার। তাই তৃণমূল যে হাতে হাত দিয়ে বসে থাকবে না। লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতার গ্রেফতারির দিনেই সবরকমভাবে তা স্পষ্ট করে দিল রাজ্যের শাসকদল। পরিষ্কারভাবে সেকথা জানিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী স্বয়ং। সিঙ্গুরকাণ্ডে ধর্মতলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ২৬ দিনের অনশন দেখেছে কলকাতা। সিঙ্গুরে ১৫ দিনের আন্দোলন দেখেছে এরাজ্য। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আন্দোলনের ঝাঁঝ দেখবে দিল্লি।