কলকাতায় মাটির নীচ দিয়ে নিয়ে যেতে হবে টিভির কেবল, দৃশ্যদূষণ রুখতে নির্দেশ রাজ্যের
শহরের রাস্তায় ঝুলন্ত তার নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আপাত নীরিহ এই তার প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে যে কোনও সময়। বর্ষবরণের রাতে কলকাতায় তারে বাইক জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। প্রশাসনের কর্তাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে যত তার ঝোলে তার ১০ শতাংশ কাজে লাগে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কলকাতা শহরে দৃশ্যদূষণ রুখতে তত্পর হল রাজ্য সরকার। এবার থেকে কলকাতা ও বিধাননগরে রাস্তার ওপর দিয়ে কোনও কেবল নিয়ে যাওয়া যাবে না বলে জানিয়ে দিল সরকার। বুধবার শহরের কেবল অপারেটরদের এক বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
বুধবারের ওই বৈঠকে হাজির ছিলেন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরুপ বিশ্বাস, ইন্দ্রনীল সেন ও কলকাতার মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। বৈঠকে জানানো হয়েছে, এবার থেকে কলকাতা ও বিধাননগরে রাস্তার ওপর দিয়ে নিয়ে যাওয়া যাবে না কেবল ও ইন্টারনেটের তার। তার নিয়ে যেতে হবে রাস্তা বা ফুটপাথের নীচ দিয়ে। প্রাথমিক ভাবে পাইলট প্রোজেক্ট হিসাবে এই নিয়ম চালু হবে আলিপুর, পার্ক স্ট্রিট ও হরিশ মুখোপাধ্যায় স্ট্রিটে।
শহরের রাস্তায় ঝুলন্ত তার নিয়ে অভিযোগ দীর্ঘদিনের। আপাত নীরিহ এই তার প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে যে কোনও সময়। বর্ষবরণের রাতে কলকাতায় তারে বাইক জড়িয়ে মৃত্যু হয়েছিল এক ব্যক্তির। প্রশাসনের কর্তাদের অভিযোগ, রাস্তার পাশে যত তার ঝোলে তার ১০ শতাংশ কাজে লাগে না। কোনও তার ছিঁড়ে গেলে বা খারাপ হয়ে গেলে সেটিকে না খুলেই আরেকটি তার টাঙিয়ে দেন কেবল অপারেটররা। যার ফলে ক্রমশ রাস্তার পাশে বাড়তে থাকে তারের বোঝা। এতেই তৈরি হয় সমস্যা। ছেঁড়া তার রাস্তায় পড়ে অনেক সময় প্রাণঘাতী দুর্ঘটনার কারণ হয়। যেমন ঘটেছিল বছরের প্রথম দিন।
'অমিত শাহের সফরে ভয় পেয়েছে তৃণমূল'
পৃথিবীর উন্নত কোনও শহরে রাস্তার পাশে তার টাঙিয়ে কেবল টিভি বা ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়ার নজির নেই। এতে একদিকে যেমন দৃশ্যদূষণ হয় তেমনই নানা ধরণের দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ে। দীর্ঘদিন আগে কলকাতাকে তারমুক্ত করতে পরিকল্পনা করতে বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অবশেষে কার্যকর হতে শুরু করল সেই পরিকল্পনা।