নিজস্ব প্রতিবেদন : মাঝে মাত্র ১৩ দিনের তফাত্। তাতেই গায়েব হয়ে গেল 'মস্তানি'। শুক্রবার ঐত্রী মৃত্যু মামলার শুনানি ছিল স্বাস্থ্য কমিশনে। সম্পূর্ণ কাঁচুমাচু মুখে এদিন স্বাস্থ্য কমিশনে হাজিরা দিলেন মুকুন্দপুর আমরির ইউনিট হেড জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়। এড়িয়ে গেলেন সংবাদমাধ্যমও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

১৭ জানুয়ারি মুকুন্দপুর আমরি হাসপাতালে মৃত্যু হয় আড়াই বছরের ঐত্রীর। এই ঘটনায় আমরি কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ঐত্রীর বাড়ির লোক। অভিযোগ, সেইসময়ই আঙুল তুলে মৃত শিশুর পরিবারকে শাসান জয়ন্তী। তাঁকে বলতে শোনা যায়, "মস্তানি করবেন না। আমার চেয়ে বেশি মস্তান কেউ নেই।"


কিন্তু এদিন স্বাস্থ্য কমিশনে ধরা পড়ল জয়ন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সম্পূর্ণ ভিন্ন চেহারা। কার্যত কাঁচুমাচু মুখেই স্বাস্থ্য কর্তাদের সামনে হাজিরা দিলেন তিনি। সংবাদমাধ্যমের কোনও প্রশ্নের উত্তরও দিতে চাননি জয়ন্তী। উল্লেখ্য, শাসানির অভিযোগে ইতিমধ্যেই তাঁকে সাসপেন্ড করেছে আমরি কর্তৃপক্ষ।


অন্যদিকে, কমিশনের প্রশ্নের মুখে ঐত্রীর দায়িত্বে থাকা শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ জয়তী সেনগুপ্তও। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে, কোনওরকম অ্যালার্জি পরীক্ষা না করেই সেদিন ছোট্ট ঐত্রীকে বার বার অগমেন্টিন ইনজেকশন দেওয়া হয়। আড়াই বছরের শিশুকে এভাবে অগমেন্টিন দেওয়া যায় কিনা, ৭ দিনের মধ্যে কোনও মেডিক্যাল জার্নাল বা বই দেখিয়ে জয়তী সেনগুপ্তকে তা প্রমাণ করতে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।