শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্যায়: বিশ্ব দরবারে দুর্গাপুজো। এই স্বীকৃতির উদযাপনে বাংলায় এবার পুজো শুরু এক মাস আগেই! ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় মহামিছিল করার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই মিছিলে যোগ দেবেন ইউনেস্কোর দুই প্রতিনিধি, টুইট করে জানালেন তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

UNESCO-র কালচারাল হেরিটেজের তালিকায় বাঙালির শারদোৎসব। গত বছরের ডিসেম্বরে প্যারিসে ইন্টার গভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশনে আনুষ্ঠানিকভাবে এই স্বীকৃতি দেওয়া হয় 'কলকাতার দুর্গাপুজো'-কে। কৃতিত্ব কার? রাজ্যে পুরভোটের প্রচারে ইউনেস্কো স্বীকৃতি'কে হাতিয়ার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।  


বেহালায় এক জনসভায় মুখ্য়মন্ত্রী বলেছিলেন, 'যে বিজেপির লোকেরা বলত মমতাজি বাংলায় দুর্গাপুজো (Durga Puja) করতে দেন না। আজ সেই দুর্গাপুজো বিশ্বসেরা। UNESCO-র স্বীকৃতি পেয়েছে'। পঞ্জিকা মতে এ বছর ১ অক্টোবর থেকে পুজো শুরু হচ্ছে। দিন কয়েক আগে মু্খ্য়মন্ত্রী ঘোষণা করেন, দুর্গাপুজোকে ইউনস্কো স্বীকৃতি উদযাপনে ১ সেপ্টেম্বর মহামিছিল হবে কলকাতায়। 


 



 


কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তখন বাংলায়। এ বছরের মে মাসে কলকাতায় ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়ালে দুর্গাপুজো ইউনেস্কোর স্বীকৃতির উদযাপন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক। সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন অমিত শাহও। শুধু তাই নয়, কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি ও পর্যটনমন্ত্রী জি কিষান রেড্ডি টুইটও করেছিলেন, 'টানা ২ বছর ধরে সংস্কৃতি মন্ত্রকের পরিশ্রমের ফলেই দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউনেস্কো। শুধুমাত্র বাংলার জন্য গর্বের মুহূর্ত নয়, দেশবাসী ও বিশ্বের হিন্দু সমাজ গর্বিত'।  


সালটা ২০০১। বিভিন্ন দেশের একাধিক রাজ্যের উৎসব ও সংস্কৃতি নিয়ে সমীক্ষার কাজ শুরু করে ইউনেস্কো। সেই সমীক্ষার ভিত্তিতেই এবার বিশ্বের 'কালচার হেরিটেজ' তালিকায় জায়গা করে নিয়েছে দুর্গাপুজো। গত বছর, ১৩ ডিসেম্বর থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্যারিসে অনুষ্ঠিত হয়  ইন্টারগভর্নমেন্ট কমিটির ষষ্ঠদশ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই 'কলকাতার দুর্গাপুজো'-কে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। এর আগে, ২০১৮ সালে কুম্ভমেলাকে হেরিটেজ তকমা দিয়েছিল ইউনেস্কো।


আরও পড়ুন: Kolkata High Court Questions Bengal Police Role: দেহ উদ্ধারের ২২ বছর পর খবর পেল পরিবার! প্রশ্নের মুখে পুলিসের ভূমিকা


এর আগে, ২০২১ সালের অগাস্টে দুর্গাপুজোর আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে লক্ষ্য উদ্যোগ নেয় রাজ্য সরকার। ইউনেস্কোর কাছে আবেদন জানিয়েছিল পর্যটক দফতর। পর্যটন দফতরের সচিব নন্দিনী চক্রবর্তী বলেছিলেন, 'ব্রিটিশ আমলে মহিলা পরিচালিত পুজো নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ ছিল। বাঙালির দুর্গাপুজোকে 'ক্ষমতায়নের পুজো' হিসেবে দেখতেন দেশের তৎকালীন শাসকরা'। চার মাস পর অবশেষে ইউনেস্কোর 'কালচার হেরিটেজ' তালিকায় স্থান পায় দুর্গাপুজো। ফ্রান্স, বেলজিয়াম, সুইজারল্যান্ড, ব্রাজিল,বলিভিয়ার মতো বিশ্বের মাত্র ৬ দেশের উৎসব এখনও পর্যন্ত ইউনেস্কোর-র স্বীকৃতি পেয়েছে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)