সিলিংয়ে ঝুলছে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র, একই সময়ে শহরের অন্য প্রান্তে উদ্ধার তরুণীর দেহ! দুই অপরিচিতকে মেলাল একই `সংযোগ`
বিশিষ্ট মনোবিদের মতে, কারোর সঙ্গে নিজের সঙ্গে শেয়ার করতে না পারায় যন্ত্রণাই মানুষকে আরও একা করে দিচ্ছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: মধ্যরাতে শহরের দুই প্রান্তে এক ছাত্র ও তরুণীর দেহ উদ্ধার। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য।
শ্যামপুকুরে দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আয়ুস ভট্টাচার্যের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কলকাতার নামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্র সে। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিল ওই ছাত্র। রাতে খাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যায়। মাঝরাতে তার ঘরে দেখতে যান পরিবারের সদস্যরা। তখনই তার ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান তারা।
পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক অনুমান মানসিক অবসাদেই আত্মঘাতী হয়েছে সে। কিন্তু কী কারণে তার মানসিক অবসাদ ছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়।
অন্যদিকে, প্রায় একই সময়ে মাদুরদহের বাসিন্দা প্রিয়তমা খাতুন নামে বছর ছাব্বিশের এক তরুণীরও দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রিয়তমাও বেশ কিছু দিন ধরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল । কী কারণে তাঁর মন খারাপ ছিল, তা জানার চেষ্টা করে পরিবার। কিন্তু স্পষ্ট করে কাউকেই কিছু জানাননি প্রিয়তমা।
আরও পড়ুন: বড় খবর: এবার বেসরকারিকরণ হতে চলেছে রেল, প্রস্তাব চেয়ে চিঠি কেন্দ্রের
ইদানীং শহরের প্রায় প্রতিদিনই মানসিক অবসাদে আত্মঘাতী হওয়ার খবর মিলছে, তার মধ্যে বেশিরভাগেরই বয়স ১৮-৪০এর কোঠায়। কেন তরুণ সমাজ এইভাবে মানসিক অবসাদে ভুগছে, তা ভাবাচ্ছে মনবিশেষজ্ঞদেরও।
বিশিষ্ট মনোবিদের মতে, কারোর সঙ্গে নিজের সঙ্গে শেয়ার করতে না পারায় যন্ত্রণাই মানুষকে আরও একা করে দিচ্ছে।