`রান্না করে রাখো মা, এসে খাবো`, ছেলে আর ফিরল না
ফোনে শেষ কথা হয়েছিল, সাড়ে ১১টা নাগাদ। `মা, ভাত রান্না করে রাখো, এসে খাবো`, বাড়িতে ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা এই কথাই বলেছিল ২৮ বছরের সাবুদ্দিন ইসলাম। আর ঘরে ফেরা হল না। পার্কসার্কাসের লোহাপুরের ঘরের বদলে সাবুদ্দিনের ঠাঁই হল মেডিক্যাল কলেজের লাশকাটা ঘরে।
কলকাতা: ফোনে শেষ কথা হয়েছিল, সাড়ে ১১টা নাগাদ। "মা, ভাত রান্না করে রাখো, এসে খাবো", বাড়িতে ফোন করে মায়ের সঙ্গে কথা এই কথাই বলেছিল ২৮ বছরের সাবুদ্দিন ইসলাম। আর ঘরে ফেরা হল না। পার্কসার্কাসের লোহাপুরের ঘরের বদলে সাবুদ্দিনের ঠাঁই হল মেডিক্যাল কলেজের লাশকাটা ঘরে।
পেশায় উবের চালক। প্যাসেঞ্জারকে নামিয়ে হাওড়া হয়ে বাড়ি ফিরবে, এটাই ভেবেছিল সাবুদ্দিন। সেইমত বাড়িতে ফোনও করে। পোস্তার রেড সিগন্যালে দাঁড়িয়েই জীবনের সমাধি হয়ে যাবে, জানতেন না সাবুদ্দিন। কলকাতা শহরের ব্যস্ত জন-জীবনে গোটা আকাশটাই যেন ভেঙে পড়েছিল দুপুর ১২টা নাগাদ। স্তব্ধ মহানগরী। আর ৫টা দিনের মত নিজের মর্জিতেই দিন শুরু হলেও জীবনের সমাপ্তি লিখে দিল বিবেকানন্দ উড়ালপুর। হঠাৎ ভেঙে পড়ল, উবরের ওপর ব্রিজের চাঙড়, সেকন্ডও সময় পায়নি গাড়ির সেফটি বেল্টটা ছিঁড়ে বাইরে বেড়িয়ে আসার। উবেররে সেফটি বেল্টেই লেগে থাকা রক্ত যেন লিখে গেল, "কলকাতা, আমি সেফ নই"।
বাড়িতে রয়েছে ৩ মাসের সন্তান। বাবা ডাক শোনার আগেই ইতি। মায়ের কান্নায় গম্ভীর কলকাতার আকাশ, "ছেলে ঘরে ফেরে নাই, আর ফিরবেও না"।