জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর ফাঁস করে দেওয়ার জল অনেক দূর গড়াল। ওই একই কাজ করার জন্য রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহর পুত্রবধূ অপরূপা গুহ। উদয়ন গুহর ফেসবুকে পেজেও এনিয়ে সরব হয়েছেন অপরূপা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-বকেয়া আদায়ে সুকান্তকে ফোন করুন, নম্বর দিয়ে পাল্টা চাপ অভিষেকের


অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা থেকে রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ফোন নম্বর প্রকাশ করা হয়। বলা হয় বকেয়া আদায়ে সুকান্তকে ফোন করুন। সেই ঘোষণার পরই শুভেন্দুর নম্বরে একটি হোয়াটসঅ্যাপ করেন উদয়ন গুহর পুত্রবধূ অপরূপা। তার পরেই বিপুল সংখ্যাক ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ আসতে থাকে তাঁর ফোনে। সেখানে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজও করা হয় বলে অভিযোগ। এরপরই কলকাতার ফুলবাগান থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন অপরূপা।


উদয়ন গুহর ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে অপরূপা বলেন, 'ওই হোয়াটস অ্যাপে লেখা হয়েছিল, একশো দিনের টাকা চাই। কিন্তু তার পরে যা ঘটে তা অবিশ্বাস্য। ওই হোয়াটস অ্য়াপ পাওয়ার পর শুভেন্দু অধিকারী তাঁর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে আমার নম্বর ভাইরাল করে দেন। এরপর রাত সাড়ে দশটা থেকে শুরু হয় অত্যাচার।  বিভিন্ন নম্বর থেকে আমার নম্বরে ক্রমাগত ফোন করা শুরু হয়। লোকজন আমাকে অকথ্যা ভাষায় গালাগালি শুরু করে। হোয়াটস অ্যাপে নোংরা নোংরা কথা আসতে তাকে। বাধ্য হয়ে রাতে ফোন বন্ধ করে দিই। সকালে যখন ফোন খুলি তারপরেও ফোন ও হোয়াটসঅ্যাপ আমার ফোনে আসতে থাকে। একজন জনপ্রনিধিকে আমি আমার সমস্যার কথা বলতেই পারি। কিন্তু উনি একজন মহিলার নম্বর এভাবে ভাইরাল করতে পারেন না। আমি ওঁকে কোনও খারাপ কথা লিখিনি। এনিয়ে আজ ফুলবাগান থানায় গিয়ে একটি এফআইআর করেছি শুভেন্দু অধিকারী ও তার ফলোয়ারদের বিরুদ্ধে। আশাকরি প্রশাসন এর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।'


ওই ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন উদয়ন গুহও। নিশানা করেছেন শুভেন্দুকে। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, অপরূপা আমার পুত্রবধূ। গৃহবধূ,রাজনীতির সাথে সম্পর্ক নেই। কিন্ত ভীষণ ভাবে রাজনৈতিক ও সমাজ সচেতন। অনেক সময় ওর পরামর্শ গ্রহণ করতে আমি কোনও দ্বিধা বোধ করি না।  ছাত্রী হিসেবে ভীষণ মেধাবী।  কেমিস্ট্রতে ফার্স্ট ক্লাস গ্রাজুয়েট।এমবিএ-তে ফার্স্ট ক্লাস ফার্স্ট। শুধু মাত্র ছেলে মানুষ করবে বলে আজ থেকে ১২ বছর আগে স্বেচ্ছায় SBI এর চাকরি ছেড়ে দেয়। তখন ও ছিল ডেপুটি ম্যানেজার। যে পরিবারের সদস্যরা মেধা নয়, রাজনীতিকে সম্বল করে সমবায় ব্যাংকের বিভিন্ন পদে বসে মানুষকে শোষণ করে তাদের পক্ষে চাকরি ছাড়ার মধ্যে সন্তান ও সংসারের প্রতি যা দায়বদ্ধতা উপলব্ধি করা সম্ভব নয়।
আসলে অনেকের সংসারটাও ভাড়া করা। শুভেন্দু অধিকারী, আপনি জানেন না সত্যিকারের পুরুষরা মহিলাদের অসন্মান করে না, বিশেষ করে একজন অপরিচিত মহিলাকে।


এদিকে, এনিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমার কাছে ওঁর মেসেজে এসেছে। আমি ব্লক করেছি। কয়েকটা মেসেজ আমি প্রকাশও করেছি। প্রচুর নম্বর থেকে ফোন এসেছে। ওই নম্বর নিয়ে একটি পোস্টার তৈরি করছি।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)