মোবাইল সারাতে বেরিয়েছিলেন, বস্তাবন্দি নিথর গৃহবধূর পরিচয় মিলল
গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় মোবাইল সারানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন অর্চনা
নিজস্ব প্রতিবেদন: শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মোবাইল সারাবেন বলে। উল্টোডাঙার যহোরলাল দত্ত লেনের বাসিন্দা অর্চনা পালংদার পাঁচ দিন পর বাড়ি ফিরলেন বটে, তবে শববাহী গাড়িতে শুয়ে। বৃহস্পতিবার আনন্দপুরে চৌবাগা পাম্পিং স্টেশন থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর বস্তাবন্দি দেহ। শরীরে নিম্নাংশে পচন ধরে গিয়েছে। চনমনে, সুন্দরী, মিশুকে অর্চনার কেন এই পরিণতি? উল্টোডাঙার মুচিবাজার এলাকার এই ঘটনায় উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য।
আরও পড়ুন: পদ খুইয়ে দলের বিরুদ্ধে এটাই বললেন অধীর চৌধুরী! দিলেন কীসের ইঙ্গিত
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় একটি বস্তা পড়ে থাকতে দেখেন আনন্দপুর পাম্পিং স্টেশনের কর্মীরা। পুলিস গিয়ে দেহ উদ্ধার করে। লাল রঙের কুর্তি, কালো পাজামা ওই মহিলার বয়স বছর তিরিশের মধ্যে। তদন্তকারীরা জানান, দেহে কোনও আঘাতের চিহ্ন ছিল না। প্রথমে ওই মহিলার পরিচয় জানা যাচ্ছিল না। শুক্রবার জানা গেল মহিলার পরিচয়। অর্চনা পালংদার মুচিপাড়ার বাসিন্দা। এদিন সকালে মর্গে গিয়ে দেহ সনাক্ত করেন স্বামী পিন্টু পালংদার।
আরও পড়ুন: স্ত্রীর গুপ্তরোগ, বন্ধুর কথা শুনে রাস্তায় স্ত্রীর পিছনে হাঁটছিলেন স্বামী-তাতেই কাজ হাসিল!
গত ১৭ তারিখ সন্ধ্যায় মোবাইল সারানোর নাম করে বাড়ি থেকে বেরোন অর্চনা। এরপর আর বাড়ি ফেরেননি। রাতে কাজ থেকে ফিরে স্ত্রী বাড়ি না ফেরায় খোঁজ শুরু করেন পিন্টু। রাতভর বিভিন্ন আত্মীয়দের ফোনও যোগাযোগ করে খোঁজ নেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্ত্রীর কোনও খোঁজও পাননি তিনি। যখন খোঁজ পেলেন, তখন স্ত্রী নিথর। দেহে প্রাণ নেই। লাশকাটা ঘরে সণাক্তের অপেক্ষায় ছিলেন অর্চনা।
পিন্টু ও অর্চনার বৈবাহিক জীবনে ছিল না কোনও বেরঙ। পাড়ায় অর্চনা অত্যন্ত মিশুকে বলেই পরিচিত। বেসরকারি সংস্থার কর্মী পিন্টুর সংসার আলো করে ছিলেন অর্চনা- এমনটাই দাবি পড়শিদের। তবে অর্চনার কেন এই পরিণতি? এই মৃত্যু যে স্বাভাবিক নয়, তা পরিস্কার পুলিস তথা পরিবারের কাছে। তবে কে বা কারা খুন করল অর্চনাকে? খুনের নেপথ্যে কারণই বা কী?
তবে কি এর পিছনে বিবাহ বর্হিভূত সম্পর্কের কোনও যোগসূত্র রয়েছে, নাকি রয়েছে অন্য কোনও কারণ। তদন্তে পুলিস। অর্চনার স্বামী পিন্টু পালংদারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিস।