বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য অক্ষম, দেখিয়ে দিল পোস্তার বিপর্যয়ের ঘটনা
প্রশিক্ষণ নেই। নেই অভিজ্ঞতা। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। এমনকি জানা নেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল। সেকারণেই গতকাল ভেঙে পড়া উড়ালপুলে উদ্ধার কাজ শুরু করতে সময় লেগে যায় আড়াই ঘণ্টা। বেহাল দশা ধরা পড়ে সেনা জওয়ানেরা উদ্ধার কাজ শুরুর পর। বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য যে অক্ষম, তা দেখিয়ে দিল পোস্তার গতকালের ঘটনা।
ওয়েব ডেস্ক: প্রশিক্ষণ নেই। নেই অভিজ্ঞতা। নেই প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতিও। এমনকি জানা নেই ভিড় নিয়ন্ত্রণের কৌশল। সেকারণেই গতকাল ভেঙে পড়া উড়ালপুলে উদ্ধার কাজ শুরু করতে সময় লেগে যায় আড়াই ঘণ্টা। বেহাল দশা ধরা পড়ে সেনা জওয়ানেরা উদ্ধার কাজ শুরুর পর। বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্য যে অক্ষম, তা দেখিয়ে দিল পোস্তার গতকালের ঘটনা।
বিরাট বিপর্যয়। কিন্তু কোন পথে শুরু হবে উদ্ধার কাজ। সেই স্ট্রাটেজি ঠিক করতেই বৃহস্পতিবার দুপুরে আড়াই ঘণ্টা কাটিয়ে দেয় পুলিস, দমকল আর বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্তারা। শেষে সেনা ডেকে পরিস্থিতি সামাল দেয় প্রশাসন।
ঘটনাস্থলে পৌছেই পুরো এলাকার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় সেনা বাহিনী। সেনার কাছে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ ছিল ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে জীবিতদের বার করে আনা। উদ্ধারে সবথেকে বড় ভূমিকা নেয় মিলিটারি ইঞ্জিনিয়ারিং সার্ভিসেস। অটোমেটিক কংক্রিট ড্রিলার, উচ্চক্ষমতার কংক্রিট কাটারের মতো অত্যাধুনিক যন্ত্র আনা হয়। ভিতরে কেউ আটকে আছে কি না তা দেখতে আনা হয় থার্মাল ক্যামেরা। স্নিফার ডগ নিয়ে আসে NDRF। দেখা যায় ধ্বংস্তূপের তলায় তখনও অনেকে বেঁচে আছেন। এই পরিস্থিতিতে শাবল দিয়ে ভেঙে পড়া অংশ সরাতে শুরু করে সেনা। এ ঘটনা ফের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যের বেহাল দশার ছবি।
রাজ্যের হাতে নেই উচ্চ ক্ষমতার কাটার, ক্রেনও। এমন কী, ভিড় সরানোর দক্ষতাও নেই রাজ্যের বাহিনীর। বিপর্যয় মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণও দেওয়া হয় না বাহিনীকে। আর এই সবকিছুর সঙ্গে রয়েছে পেশাদারিত্বের অভাব। উদ্ধারের কাজ দূরে থাক বৃহস্পতিবার ভির সামাল দিতেও ব্যর্থ ছিল পুলিস-প্রশাসন। পুলিস অবশ্য সাফাই দিচ্ছে, আগে এমন বিপর্যয় সামাল দেওয়ার অভিজ্ঞতা না থাকার জন্যই তারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
শহরে উপর একের পর এক দুর্ঘটনা বারবার প্রমাণ করেছে বিপর্যয় মোকাবিলায় রাজ্যের ছন্নছাড়া দশার কথা। ভূ-কম্পণ প্রবণ এলাকার মধ্যে রয়েছে এ শহর। বৃহস্পতিবারের ঘটনার পর কি টনক নড়বে প্রশাসনের? নাকি ঢাল তরোয়াল ছাড়াই থেকে যাবে রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী?