কলকাতা: কলকাতার এক অজানা চিলেকোঠার অজানা গল্প। কংক্রিটের জঙ্গলে এক চিলেকোঠাই হয়ে থাকল ইতিহাসের সাক্ষ্মী। কলকাতার উচু উচু ইমারত এতদিন পর্যন্ত কেবলই ঠায় দাঁড়িয়ে দেখত ঘুড়ির লড়াই। কত প্রেমের ঘুড়িই তো ভোকাট্টা হয়ে এক ছাঁদ থেকে অন্য ছাঁদে এসে পড়েছে, কেউ লুটেছে, কেউ কাড়াকাড়িতে ছিঁড়েছে! কখনও কেউ কল্পনা করেছিল, কলকাতার এক উচু ইমারতের একটা অনামী চিলোকোঠা হঠাৎ হয়ে যাবে 'রকবাজির এপিসেন্টার'? বিশ্বাস না হলেও, হল তেমনটাই। বাড়ির ছাঁদ থেকে গান উড়ছে, ভাসছে, কাটছে। গানওয়ালারা লুটছে সেই গান। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 



ড্রাম বিটগুলো সেদিন কোনও নিয়ন্ত্রণ মানেনি! বরং ভীষণ নিয়ম মেনেই নিয়ম ভেঙেছে। সেদিন সুর দিয়েই কলকাতার ঘুম ভেঙিয়েছে গিটার। বাজারে যাদের নাম নেই, তাঁদের নাম দেওয়ার অনুসন্ধানেই ব্যান্ড ফেস্ট হল কলকাতায়। বেলেঘাটা কালিতারা বোস লেনের এক ফ্ল্যাট বাড়ির ছাঁদ ১৫ জানুয়ারি কেবল একটা ছাঁদ ছিল না, যেখানে ত্রিপল খাঁটিয়ে পিকনিক হচ্ছিল! সেদিন ওই ছাঁদেই হল আগামীর রকস্টারদের রকবাজি, যার পোশাকি নাম, "আনপ্লাগড রকার্স রুফ ভলিউম: ওয়ান"। এস আর প্রোডাকশনই এর মূল উপদেষ্টা। বাজারে থাকলেই যে তা বিকোবে না, তার জন্য প্রয়োজন প্রচার, ব্র্যান্ডিং। বাজার এবং বিজ্ঞাপনের এই সারমর্মই এস আর প্রোডাকশনের কর্ণধার সৌরভের মুখে, "আমি নিজে একজন আর্টিস্ট, আমি অনুভব করেছি একজন আর্টিস্টের ব্র্যান্ডিং কতটা দরকার। তাই নিজের উদ্যোগেই একটা প্রচেষ্টা করলাম। এস আর প্রোডাকশনের ব্যাক বোনেই মাথা তুলে দাঁড়াক ওরা (ব্যান্ড লাইক- অভিযান, হিজিবিজি, আলোড়ন, অহরাত্র, যাত্রী, অনুসর্গ, নির্বাক, অ্যালগোরিদিম, অভিন্নসর, ব্রেভ হার্টজ, মহাকাশ, খোলস)"। 


 


 


সৌরভের এই প্রচেষ্টায় সহযোগী হিসেবে ছিলেন ওয়াও মোমোর সিনিয়র মার্কেটিং ম্যানেজার মিস্টার বিকাশ শর্মাও। উল্লেখ্য, "আনপ্লাগড রকার্স রুফ ভলিউম: ওয়ান"-এ সঞ্চালকের ভূমিকায় ছিলেন ৯২.৭ বিগ এফএম-এর (আসানসোল) রেডিও জকি আরজে দেব।