নিজস্ব প্রতিবেদন: ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যুতে ধুন্ধুমার পিয়ারলেস হাসপাতালে। আক্রান্ত হলেন সাংবাদিকরাও। সকাল থেকেই বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সিংয়ের ছাত্রীরা। তাঁদের দাবি, প্রত্যেকবারই ছোট-বড় বিভিন্ন ঘটনা ঘটে। কিন্তু তা ধামাচাপা দিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। তবে রিঙ্কি ঘোষের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পরেই ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রীদের মধ্যে। সকাল ছটা থেকে হাসপাতালের গেট আটকে চলছে বিক্ষোভ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, রোগী ছাড়া অন্য কোনও কর্মীকে তারা ভেতরে  ঢুকতে দেবেন না। মোতায়েন রয়েছে বিশাল পুলিসবাহিনী। এরইমধ্যে রিঙ্কির বাবা হাসপাতালে পৌঁছন। প্রায় একইসঙ্গে আসেন নার্সিং বিভাগের ভারপ্রাপ্ত মেট্রন প্রতিমা শীলও। তিনি আসার পরেই আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। তাঁর দিকে তেড়ে আসে বিক্ষোভরত ছাত্রীরা। এদিকে  মৃত ছাত্রী রিঙ্কি ঘোষের বাবাকে দেহ ময়নাতদন্তের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে সই করতে দেয় পুলিস। কিন্তু তিনি সই করতে অস্বীকার করেন। মৃত ছাত্রীর বাবার দাবি, যতক্ষণ না রিঙ্কির মৃত্যুর কারণ জানা যাবে, ততক্ষণ পর্যন্ত কোনও কাগজে তিনি সই করবেন না।


এদিকে, এই খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছে জি ২৪ ঘণ্টা। ভেঙে দেওয়া হয়েছে ক্যামেরা। মারধরে আহত হয়েছেন বেশকয়েকজন সাংবাদিক ও চিত্র সাংবাদিকও।


ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ। নার্সিং ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের খবর সংগ্রহে যান সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা। সহপাঠীর মৃত্যু ঘিরে তখন হাসপাতাল চত্ত্বরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন নার্সিং ছাত্রীরা। সেই খবর যাতে সংবাদমাধ্যম কোনওভাবে সংগ্রহ না করতে পারে তার জন্য বাধা দেয় নিরাপত্তারক্ষীরা। ইট, বাঁশ নিয়ে চড়াও হয় তারা।


ছাত্রীদের অভিযোগ, পরীক্ষায় ভাল ফল না হওয়ায় তাদের অভিভাবকদের ডেকে পাঠায় কর্তৃপক্ষ। অভিযোগ, অভিভাবকদের সামনেই তাদের অপমান করা হয়। এর জেরেই নার্সিং ছাত্রী রিঙ্কি ঘোষ আত্মঘাতী হয়েছেন। অন্যদিকে সাংবাদিকদের মারধরের ঘটনায় পঞ্চসায়র থানায় পিয়ারলেস হাসপাতালের নিরাপত্তারক্ষীদের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।