শ্রেয়সী গঙ্গোপাধ্য়ায়: শুক্রবার হাওড়া-এনজেপি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের যাত্রার সূচনা করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তবে যাত্রার সূচনা হয়ে গেলেও সাধারণ যাত্রীরা বন্দে ভারতে চড়তে পারবেন ১ জানুয়ারি থেকে। তবে যাত্রা শুরু আগেই বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের স্টপের সংখ্যা বাড়াল মন্ত্রক। পাশাপাশি বৃহস্পতিবার রেল মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা হল বন্দে ভারতের চূড়ান্ত সময়সূচি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-ভোটদানে বাধা? সমবায় নির্বাচনে গুলি! আতঙ্কে ভোটাররা


রেলের তরফে জানানো হয়েছে, হাওড়া থেকে বন্দে ভারত ছেড়ে থামবে বোলপুর(শান্তিনিকেতন)। এরপর মালদহ টাউন, বারসোই হয়ে থামবে নিউ জলপাইগুড়িতে। রেলের দেওয়া সময়সূচি অনুয়ায়ী হাওড়া থেকে সকাল ৫টা ৫৫ মিনিটে ছাড়বে বন্দে ভারত। বোলপুরে গিয়ে পৌঁছাবে সকাল ৭টা ৪৩ মিনিটে। সেখান থেকে ছাড়বে ৭টা ৪৫ মিনিটে। মালদহ টাউনে গিয়ে পৌঁছবে ১০টা ৩২ মিনিটে। মালদহ টাউনে ৩ মিনিট থেকে ট্রেনটি ছাড়বে ১০টা ৩৫ মিনিটে। ট্রেনটি বারসই স্টেশনে গিয়ে পৌঁছবে ১১টা ৫০ মিনিট। থামবে ২ মিনিট। বারসই থেকে বন্দে ভারত ছেড়ে নিউ জলপাইগুড়িতে গিয়ে পৌঁছবে দুরুর ১টা ২৫ মিনিটে। সবেমিলিয়ে মোট ৭ ঘণ্টা ৩০ মিনিটের সফর।


উল্লেখ্য, হাওড়া ও নিউ জলপাইগুড়ির মধ্যে স্টেশনের সংখ্যা বাড়িয়েছে রেল মন্ত্রক। প্রাথমিকভাবে যেসব স্টেশনে বন্দে ভারত থামার কথা ছিল সেই তালিকায় ছিল না বোলপুর। তবে শেষপর্যন্ত তা তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। রাজ্য বিজেপি সভাপতি অবশ্য় দাবি করেছেন বোলপুরে স্টপের জন্য তিনি রেলমন্ত্রীর কাছে দরবার করেছিলেন। কারণ রবীন্দ্রনাথের টানে এখানে বছরভর আসেন বহু পর্যটক। তাই বোলপুরে বন্দে ভারতের স্টপ থাকা উচিত।


উল্লেখ্য, গতি থেকে সাচ্ছন্দ, প্রয়ুক্তিগত সুবিধে থেকে অত্যাধুনিক বহুকিছু সুবিধে দিয়ে সাজানো হয়েছে এই ট্রেনটিকে। ট্রেনের সিটগুলিকে ঘোরানো যাবে ১৮০ ডিগ্রি। ফলে যাত্রীরা যেমন খুশি বসতে পারবেন। দুর্ঘটনা রোধের জন্য এই ট্রেনে রাখা হয়েছে বিশেষ প্রযুক্তি। দৃষ্টিহীনদের সুবিধের জন্য আসনের নম্বর লেখা থাকছে ব্রেইলি পদ্ধতিতেও। বিশেষভাবে সক্ষমদের জন্য রয়েছে বিশেষ টয়লেটের ব্যবস্থা। এছাড়াও থাকছে ইনফরমেশন বোর্ড, ওয়াইফাই, জিপিএস প্যসেঞ্জার ইনফরমেশন সিস্টেম।


বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের কোচ তৈরি করা হয়েছে বিশেষভাবে। এতে দুর্ঘটনায় ক্ষতির সম্ভাবনা কমবে। অন্যান্য ট্রেনের থেকে অনেকটাই হালকা হওয়ায় এই ট্রেনের গতি অনেকটাই বাড়বে। ট্রেনের দুই দিকেই থাকছে পাইলট কেবিন। সেই কেবিনের বাইরে থাকছে ক্যামেরা। এর ফলে তিনি প্লাটফর্মের অনেকটাই দেখতে পারবেন। গতি বেশি হওয়ায় এর ব্রেকিং সিস্টেমও অনেক উন্নত। এতে বিদ্যুতের খরচও কমবে। অন্য় ট্রেনের তুলনায় বন্দে ভারতের জানালা অনেকটা বড়। ভেতরে  মালপত্র রাখায় জায়গাও অনেক বেশি।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)