নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রবেশিকা বিতর্ককে ঘিরে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের পদত্যাগ নিয়ে জল্পনা তুঙ্গে উঠেছিল। কিন্তু এদিন সেই জল্পনা জল ঢেলে দিলেন উপাচার্য নিজেই। রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করলেও, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদ থেকে ইস্তফা দেননি সুরঞ্জন দাস।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, এদিন রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির সঙ্গে উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের পদত্যাগ প্রসঙ্গে কোনও কথাই হয়নি। রাজ্যপালের সঙ্গে মূলত নিজের শারীরিক পরিস্থিতিই নিয়েই কথা বলেন সুরঞ্জন দাস। রাজ্যপালকে তিনি জানান, তাঁর শরীর খুবই খারাপ। খুবই অসুস্থ তিনি। কোনও অবস্থাতেই কোনও চাপ নিতে চিকিত্সকরা তাঁকে বারণ করেছেন। উপাচার্য সুরঞ্জন দাসের কথা প্রসঙ্গে রাজ্যপাল তাঁকে চিকিত্সকদের সমস্তরকম নির্দেশ মেনে চলার পরামর্শ দেন।


উল্লেখ্য, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রবেশিকা রদের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে পড়ুয়ারা আন্দোলনে নামলে ব্যাহত হয় পঠনপাঠন। সেই পরিস্থিতিতে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে পদত্যাগের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। কিন্তু তখনই তাঁকে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে বারণ করেছিলেন রাজ্যপাল।


এরপর মঙ্গলবার কর্মসমিতির বৈঠকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কলা বিভাগে ভর্তির ক্ষেত্রে  প্রবেশিকা ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু কর্মসমিতির এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে তিনি ও সহ-উপাচার্য প্রদীপকুমার ঘোষ যে সহমত নন, সেদিন সন্ধ্যাতেই সাফ জানিয়ে দেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস। যারপরই ফের নতুন করে উস্কে ওঠে উপাচার্যের পদত্যাগের জল্পনা।


আরও পড়ুন, সিআইডির হাত ফসকে পালালেন ভারতী ঘোষের 'ছায়াসঙ্গী'


সেইপ্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছিলেন, উপাচার্য ও সহ-উপাচার্য তাঁর সঙ্গে দেখা করে কথা বলতে চাইলে, অবশ্যই তাঁদের কথা শুনবেন। কোনওকিছু-ই কারোর উপর জোর করে চাপিয়ে দেওয়া হবে না।