অঞ্জন রায়


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

লোকসভা ভোটের আগে রাম নামে দেশজুড়ে হিন্দুত্বের আবেগ জাগিয়ে তুলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। এরাজ্যেও তারা একের পর সভা করে চলেছে। রথ যাত্রা নিয়ে যখন মামলা-মোকদ্দমায় ব্যস্ত বিজেপি, তখন সশব্দে জেলায় জেলায় সভা করে চলেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দল। পুরুলিয়া থেকে শিলিগুড়ি দাপিয়ে বেড়াচ্ছে তারা। শুধু সভাই নয়, জায়গায় জায়গায় চলছে যজ্ঞও। কিন্তু ভিএইচপি-কে এবার লাগাম টানার পরামর্শ দিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। 


শনিবার কলকাতায় বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্যে বিজেপির দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়, শিবপ্রকাশ ও অরবিন্দ মেননরা। রাম মন্দির নিয়ে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যে দক্ষযজ্ঞ শুরু করেছে, তা জনমানসে ভুল বার্তা দিচ্ছে বলে মত বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের। আর সে কারণেই অমিত শাহের নির্দেশে ভিএইচপি-র কর্মসূচিকে রাশ টানতে ময়দানে নামলেন নেতারা। যদিও উভয়পক্ষের দাবি, এটা নেহাতই সৌজন্য বৈঠক। 



এদিনই আবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেছেন, বাংলার মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওনার সুস্থতা কামনা করি। উনি সুস্থ থাকলে বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হওয়ার সুযোগ রয়েছে। দিলীপের এই মন্তব্যের পর শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্যে বিজেপির অন্দরে।  তারপর আবার এই বৈঠক। অনেকেই দুইয়ে-দুইয়ে চার করছেন। তবে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি, সব রাজ্যেই ভিএইচপি-কে ধীরে চলতে বলা হয়েছে। তবুও একটা 'কিন্তু' থেকেই যাচ্ছে।       


 


প্রশ্ন হচ্ছে, রাম মন্দির নিয়ে ইতিমধ্যেই ভিএইচপি হুঁশিয়ারি দিয়েছে,'মন্দির নেহি, তো সরকার নেহি'। অনেকেই বলছেন, রাম মন্দির আন্দোলনের জন্য ভিএইচপি-র নিয়ন্ত্রণ নেই বিজেপির। আর তারা যে বিজেপির ইশারায় চলবে না, সেটা আগেও স্পষ্ট করেছেন ভিএইচপি নেতৃত্ব। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের ক্ষেত্রীয় সংগঠন সম্পাদক শচীন্দ্রনাথ সিনহার দাবি, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি প্রয়াগ কুম্ভে সাধুসন্তদের বৈঠকে বৈঠকে এব্যাপারে সিদ্ধান্ত  হবে। কিন্তু একই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দিয়েছেন, অনন্তকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবে না দেশের হিন্দুরা। আইনি পথে না হলে সরকারকে অন্য ব্যবস্থা করতে হবে। 



আরও পড়ুন- ঘোর কলি! প্রথম বাঙালি প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মমতাকে দেখতে চান দিলীপ ঘোষ


বলে রাখি, আগামী ১০ জানুয়ারি অযোধ্যায় শুরু হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি। শুক্রবার একথা জানায় সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের ডিভিশন বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি জানিয়েছেন, নতুন বেঞ্চে হবে হবে অযোধ্যা মামলার শুনানি।