নিজস্ব প্রতিবেদন: লোকসভা নির্বাচনের পর থেকে গোটা পশ্চিমবঙ্গে লাফিয়ে বাড়ছে বিজেপি। কিন্তু প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়ার ওপর ভরসা করে কি আগামী নির্বাচনগুলিতেও সাফল্য নিশ্চিত করতে পারবেন আপনারা? আরএসএস প্রধান মোহন ভগবতের এই প্রশ্নের উত্তরে থমকে গেলেন রাজ্য বিজেপির নেতারা। তৃণমূল বিরোধিতার বাইরে কী তাঁদের বিকল্প পরিকল্পনা? অবিলম্বে তা তৈরি করতে নির্দেশ দিলেন দিলীপ ঘোষ সুব্রত চট্টোপাধ্যায়কে। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

শনিবার ৩ দিনের কলকাতা সফরে আসেন আরএসএস প্রধান ভগবৎ। তিনটে দিনের অধিকাংশ সময়েই দলের রাজ্য সদর দফতর কেশব ভবনে ঘাঁটি গেড়েছিলেন তিনি। ভিএইচপি ও আরএসএস-এর নেতাদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করেন আরএসএস প্রধান। বৈঠক করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও। সেখানেই ভগবতের প্রশ্নের মুখে অস্বস্তিতে পড়েন দিলীপ ঘোষরা। 


 



রবিবার ভগবতের সঙ্গে ওই বৈঠকে ছিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ, সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়, আরএসএস নেতা ভাইয়াজি জোশী ও রন্তিদেব সেনগুপ্ত। সেই বৈঠকেই রাজ্যে তৃণমূলের নীতির বিকল্প কী নীতি তৈরি হয়েছে তা জানতে চান ভগবৎ। তাঁর প্রশ্নের যদিও কোনও জবাব ছিল না দিলীপ ঘোষদের কাছে। 


এর পরই রাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতার সরলরৈখিক নীতির বাইরে বিকল্প নীতির তৈরির নির্দেশ দেন মোহন ভগবৎ। বলেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের ৪০ শতাংশ মানুষ বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। কিন্তু তারা যে ফের ভোট দেবে তার নিশ্চয়তা কই? কী করে ধরে রাখবেন ভোট? কিছু ভেবেছেন! বিকল্প নীতি না তৈরি করলে তৃণমূলকে সরালে যে আরও অরাজকতা তৈরি হবে না সেব্যাপারে ভোটাররা নিশ্চিত হবেন কী করে? 


বিজেপিকে আটকাতে মাওবাদী সাহায্য নিচ্ছে তৃণমূল, বিস্ফোরক দিলীপ ঘোষ


এরাজ্যে তৃণমূল বিরোধিতা ও হিন্দুত্বের লাইনে চলে গত কয়েক বছরে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছে বিজেপি। তবে রাজনৈতিক ভাবে প্রশাসন চালানোয় তাদের নীতি কী তা এখনো অজানা পশ্চিমবঙ্গবাসীর। ফলে শুধুমাত্র প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার হাওয়াই বিজেপির সাফল্যের একমাত্র ভরসা। সেই খাদ পূরণে ইতিমধ্যে 'দিদিকে বলো'-র মতো কর্মসূচিও শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল। বিকল্প নীতি তৈরিই সাফল্যের ধারা বজায় রাখার অব্যর্থ দাওয়াই, তা রাজ্য বিজেপি নেতাদের জানিয়ে গেলেন মোহন ভগবৎ।