নিজস্ব প্রতিবেদন : শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন মেয়র। কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম রবীন্দ্র সরোবরের জন্য ক্ষমা চাইলেন। ফেসবুকে ভিডিও পোস্ট করে জানালেন, শত চেষ্টা করেও রবীন্দ্র সরোবরে ছটপুজো করা থেকে মানুষকে আটকাতে তারা ব্যর্থ। তবে তিনি ধন্যবাদ জানান কে.এম.সি এবং কে.এম.ডি-এর কর্মীদের, যাঁরা ছটের সঙ্গে সঙ্গে জায়গা পরিষ্কার করে দিয়েছেন।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

 




ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনালের নির্দেশকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে অবাধে ছট পালন হয় রবীন্দ্র সরোবরে। অভিযোগ, পুলিসের নাকের ডগায় ছট পুণ্যার্থীরা আচার-অনুষ্ঠান সারেন।এ ঘটনায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ পরিবেশবিদ থেকে স্থানীয় মানুষ। পরিবেশ দূষণ রুখতে আদালত যে নির্দেশ দিয়েছে, তা মানতে দেখা যায় নি। শনিবারের পর রবিরার ভোর রাতে পুণ্যার্থীরা এসে জড়ো হন রবীন্দ্র সরোবরে। উল্লেখ্য রবীন্দ্র সরোবর নিয়ে শনিবার থেকেই চরমে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা।


শনিবার ছটপুজোর সকালে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রবীন্দ্র সরোবর চত্বর। সকাল ৭টা নাগাদ সরোবরের তিন নম্বর গেটের তালা ভেঙে বেশ কিছু মানুষ প্রবেশ করে। সরোবরের মধ্যেই তারা ছট পুজো করতে দেওয়ার দাবি তুলে বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজোয় কেএমডিএ-এর নিষেধাজ্ঞার নোটিস ছিঁড়ে ফেলে বিক্ষোভকারীরা।


আরও পড়ুন - ব‌ই আর ফুটবল-এই দুই অনুভূতিকে হাতিয়ার করেই জনসংযোগ বাড়াতে চাইছে বাম যুবসংগঠন


পরিবেশ দূষণ রোধের উদ্দেশ্যে কোনও মতেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট পুজো করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দেয় জাতীয় পরিবেশ আদালত। পরিবেশ আদালত নিযুক্ত বিশেষজ্ঞ কমিটি আগেই রবীন্দ্র সরোবরে ছট বন্ধের সুপারিশ করেছিল। তা সত্ত্বেও গত দুই বছর অবাধে ছট পুজো হয়েছিল রবীন্দ্র সরোবর। আর তার ফলে হয়েছে দূষণও। এবছর আদালতের নির্দেশ মেনে রবীন্দ্র সরোবরে সম্পূর্ণরূপে ছট পুজো বন্ধের পথে হেঁটেছে কেএমডিএ। তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হয় সরোবরের গেটে। বিকল্প হিসাবে শহরের ১০টি পুকুরে ছট পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়। ছট পুজোর জন্য এই পুকুরগুলিতে কেএমডিএ-র তরফে আলো, শৌচালয় ও জামাকাপড় বদলের ব্যবস্থা করা হয়। সাধারণ মানুষকে ওয়াকিবহল করতে শহরজুড়ে বিভিন্ন জায়গায় বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়।