ওয়েব ডেস্ক: হঠাতই বীভত্স আওয়াজ। চোখের সামনে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল দৈত্যাকার উড়ালপুলের একটা বড় অংশ। ধ্বংসস্তূপের নীচে চাপা পড়লেন বহু মানুষ। চাপা পড়ল বহু গাড়ি। শহরের বুকে এতবড় বিপর্যয় কেড়ে নিল বহু প্রাণ। পোস্তা আর হাসপাতাল ভারী হল স্বজন হারানোর হাহাকারে। যাঁরা বেঁচে গেলেন তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন উদ্ধার কাজে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দিনের ব্যস্ততম সময়। হঠাতই বিকট আওয়াজ। আকস্মিকতার অভিঘাত কাটতেই কেটে যায় কয়েক মুহূর্ত। আর তারপরই ঝাঁপিয়ে পড়েন সাধারণ মানুষ। ভেঙে পড়েছে কয়েক হাজার টনের কংক্রিটের জঙ্গল। পুলিস, দমকল, জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী- উদ্ধারে সকলেই। বের করে আনা হচ্ছে একের পর এক দেহ। সকলের চোখেমুখে তখন একটাই প্রশ্ন। প্রাণ কি আছে? হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় আহতদের। বাইরে একরাশ থমথমে মুখ। তার মধ্যেই এমার্জেন্সি থেকে এল একের পর এক ভয়াবহ খবর।


পোস্তায় ভেঙে পড়া উড়ালপুলের তলায় আটকে অসংখ্য মানুষ। দিনের ব্যস্ততম সময়ে পোস্তা ছিল জমজমাট। যে জায়গায় উড়ালপুল ভেঙে পড়ে তার তলাতেই ট্যাক্সি স্ট্যান্ড, ট্রামলাইন। রাতে চলছিল ঢালাইয়ের কাজ। এরপরই সকালে ভেঙে পড়ে উড়ালপুলের একাংশ। তলায় চাপা পড়ে যান অসংখ্য মানুষ। কারোর হাত কারোর পা ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। দুমড়ে মুচড়ে যায় গাড়ি।   


খড়গপুরের নির্বাচনী সভা কাটছাঁট করে পোস্তার দুর্ঘটনাস্থলে পৌছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মৃতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা ও আহতদের ২ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্নে খোলা হয়েছে বিশেষ কন্ট্রোল রুম কন্ট্রোল রুমের নং ১০৭০। শহরের সবকটি হাসপাতাল থেকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। দুর্ঘটনাস্থলে কাজ করছেন সেনার ইঞ্জিনিয়াররা।  


বিবেকানন্দ রোড উড়ালপুলের একাংশ ভেঙে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে উদ্ধারকাজে হাত লাগান স্থানীয় বাসিন্দারাই। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌছয় দমকল ও বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মীরা। ভগ্নস্তূপ সরিয়ে একের পর এক আহতকে উদ্ধার করা হচ্ছে। তাঁদের নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মেডিক্যাল কলেজ এবং স্থানীয় শেঠ সুরজমল হাসপাতাল। সেখানেই প্রাথমিকভাবে আহতদের চিকিত্সা হচ্ছে বলে খবর। এছাড়াও শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে আহতদের।