ওয়েব ডেস্ক: শুরুটা ছিল 'শূন্য' থেকেই। সমতলের পথ খুব একটা সহজ ছিল না! 'কণ্টকময়' রাজনৈতিক জীবনে এভারেস্টের উচ্চতায় মমতা বন্দোপাধ্যায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে মমতাই প্রথম মহিলা মুখ্যমন্ত্রী যিনি দ্বিতীয়বার মসনদে বসছেন। ২১১ আসনের রেকর্ড সংখ্যা, যার একা নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগেও বিধানসভায় বামেদের ভরা যৌবন ছিল, ভাঁটার টানে সব হারিয়েছে তাঁরা। বামফ্রন্টের সরকারের অনেক মুখ ছিল, যেটা এই সরকারে নেই। 'অনলি ওয়ান', মমতা। মমতার একনায়ক হয়ে ওঠার পিছনে রাজনৈতিক অনেক কারণ আছে, তাঁর ভিন্ন ভিন্ন ব্যাখ্যাও রয়েছে। তবে যে ব্যাখ্যা বৈজ্ঞানিক, তা সম্পর্কে আজ প্রথমবার আপনাদের অভিহিত করাতে চাই। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কী সেই কারণ?


বিজ্ঞানলব্ধ গবেষণা বলছে, যে মানুষ ২৪ ঘণ্টায় ১০ মাইল পথ হাঁটতে পারেন তিনিই হন শ্রেষ্ঠ নেতা। এই গবেষণা যৌথ ভাবে চালিয়েছে মার্কিন সেনেটের শ্রম বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগ। গবেষণা আরও বলছে, ঘণ্টায় ১.৫ মাইল প্রতি ঘণ্টা যে নেতা হাটেন, তিনি তাঁর চলার পথেই সমস্ত দৈনন্দিন কাজ সেরে ফেলেন। ই-মেল, ক্লায়েন্টের সঙ্গে কথা এবং স্ট্র্যাটেজি ঠিক করা, সবই করে নেন হাঁটতে হাঁটতেই। শুধু যে মস্তিষ্কের সঞ্চালনা, তাই নয়, এতে শরীর স্বাস্থ্যও ভাল থাকে। আর একজন সুস্থ মানুষই তাঁর কাজ পরিচালনা করতে পারেন সুপরিচালিত ভাবে। 


এবার গবেষণার সঙ্গে মিলিয়ে দেখুন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কর্মজীবনকে। শুধু ২০১৬ বিধানসভা নির্বাচন নয়। রাজনৈতিক জীবনের আদিকাল থেকেই চার চাকার বদলে দু' পাইয়াকেই বেশি ভরসা করেছেন তিনি। 'টালা থেকে টালিগঞ্জ' এটা কেবল স্লোগান নয়, কিলোমিটারের পর কিলোমিটার পায়ে হেঁটেই রাজনৈতিক ধাপ পার করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


আমেরিকার গোটা সেনেটের মধ্যে শ্রম বিভাগ এবং স্বাস্থ্য বিভাগের মন্ত্রীরা ঠিক একই কাজ করেন। প্রতিনিয়ত ১০ মাইল হাঁটাই তাঁদের কাজের সাফল্যের একমাত্র চাবিকাঠি।