নিজস্ব প্রতিবেদন: বেলুন বিক্রি করা একটি বাচ্চা মেয়ে আর রক্তকরবী-- এ দু'টি বিষয় একটা অন্তর্নিহিত সুরের মতো ফিরে-ফিরে আসে। আর সেই চলাচল থেকেই ফুটে বেরিয়ে আসে প্রবল কিন্তু কমনীয় এক প্রতিবাদ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কীসের প্রতিবাদ? কার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ? কাদের প্রতিবাদ?


বিষয়টিতে রাজনীতির আঙ্গিক আছে (রাজনীতি কোথায়ই-বা নেই?)! সেই আঙ্গিকেই প্রতিবাদ। কিন্তু এখানে যাদের প্রতিবাদ এবং যাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ, কোথাও সেই রাজনৈতিকতাটা স্পষ্ট করে তোলা হয়নি। হয়নি শিল্পেরই স্বার্থে। ওই বেলুন বিক্রি করা বাচ্চা মেয়েটির স্বার্থে, ওই রক্তকরবী বইটির স্বার্থে। 


কিন্তু বামমনোভাবাপন্ন অনেকগুলি 'মাইন্ড' একসঙ্গে একযোগে এই 'নিজেদের মতে, নিজেদের গানে' এই প্রতিবাদ জানিয়েছে হিন্দুত্ববাদী একবগ্গা রাজনীতির বিরুদ্ধে। আসন্ন বিধানসভা ভোটের আবহে যা অনায়াসে রাজনৈতিক 'রঙ' পেয়ে গিয়েছে। 


আরও পড়ুন: 'বাংলার নিজের মেয়ে'র কনভয়ের সামনে এখন কামদুনি, পার্কস্ট্রিট


সাড়ে ছ'মিনিটের একটি ভিডিয়ো। যা দেশে 'মিথ্যা ও ঘৃণার চাষ বাড়লে কথা বলা'র বাধ্যবাধকতার কথা দিয়ে শুরু; যেখানে বৈচিত্র ও ভালবাসার দেশ ভারতে, সৌহার্দ্য, শান্তি ও বহুত্ববাদের ভূখণ্ড বাংলায় বিভেদ সৃষ্টির অপচেষ্টা দেখলেই রুখে দাঁড়াবার অঙ্গীকার। 'শিবঠাকুরের আপন দেশে আইনকানুন সর্বনেশে' বলে ভিডিয়োটির প্রকৃত শুরুয়াত।


যে-মুখগুলি দেখা যায়, তাঁদের মনোভাব পরিচিত, স্পষ্ট-- রুদ্রপ্রসাদ, সব্যসাচী, অনির্বাণ, রূপঙ্কর, অনিন্দ্য, ঋদ্ধি, পরমব্রত, দেবলীনা। গোটা ভিডিয়োটি জুড়ে প্রয়োজনমতো দেখা যায় তাঁদের। আসলে ভিন্ন প্রজন্মকে গেঁথে নিয়ে একযোগে এই প্রতিবাদ। সব চরিত্রের ঠোঁটেই প্রাণ পায় গান। অনির্বাণের লিরিক্স, শুভদীপ গুহের কম্পোজিশনে প্রথম লাইনটিই ভাবায়-- 'তুমি পুরাণকে বলো ইতিহাস আর ইতিহাসকে বলো পুরনো'! তিরটা স্পষ্ট এবং তীক্ষ্ণ। নিজেদের ভালো নিজেদের মতো বোঝার যে 'স্পেস', সেই পরিসরটাই চায় যে কোনও মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তা। এগোয় ভিডিয়ো। সেখানে ছেঁড়া হয় 'অ্যান্টিন্যাশনাল' 'গো টু পাকিস্তান', 'হোয়াটসঅ্যাপ ইউনিভার্সিটি', 'অচ্ছে দিনে'র পোস্টার। সেখানে শহরের নানা ব্য়াকড্রপে শোনা যায় 'আমি গোয়েবলসের আয়নায় ঠিক তোমাকেই দেখে ফেলেছি/এই হাঙরের দাঁত পুরনো, তাতে পোকা লেগে আছে দেখেছি'; কিংবা 'তুমি মিথ্যেপুজোতে ব্যস্ত কোনও সত্যি লড়াইয়ে থাকোনি'; কিংবা 'তুমি সব ধরনের অঙ্ক পাকিস্তান দিয়ে গুণ করেছে'। এ সবই হয়েছে তার কারণ, 'তুমি বহু দূর বেড়ে গিয়েছ'।


কিন্তু সব বাদ-প্রতিবাদ আগুনকণ্ঠই হঠাৎই স্তিমিত হয়ে যায় একটি মিঠে সুরেলা কণ্ঠে, যে-কণ্ঠ বলে 'আমি অন্য কোথাও যাব না, আমি ভারতবর্ষে থাকব'। ভিড় থেকে বেরিয়ে এসে একজন সেই মিঠে কণ্ঠের হাতে গুঁজে দেয় 'রক্তকরবী'!


অন্ধকারে মুখ-ঢাকা অত্যাচারী ক্রূর রাজার অরাজকতায় এই কি তবে 'নন্দিনী'?


আরও পড়ুন: WB assembly election 2021: স্বামী ভোটে দাঁড়িয়েছেন বাংলায়, অস্ট্রেলিয়া থেকে প্রচার স্ত্রী'র