নিজস্ব প্রতিবেদন: বীরভূমে ভোটের মুখে নজরবন্দি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। আজ বিকেল পাঁচটা থেকে ৩০ তারিখ অর্থাৎ শুক্রবার সকাল ৭টা পর্যন্ত তাঁকে নজরবন্দি করার নির্দেশ দিল নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে খবর, নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যাতে কোনও ব্যাঘাত না ঘটে, সেকারণেই এই সিদ্ধান্ত। কারা নজরবন্দি করবেন অনুব্রতকে? একজন এগজিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। এই গোটা প্রক্রিয়াটির ভিডিওগ্রাফিও করা হবে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কখনও 'চড়াম-চড়াম', তো কখনও আবার 'গুড়-বাতাস'। ভোট এলেই খবরের শিরোনাম চলে আসেন অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)। বিরোধীরা বলেন, ভোটের সময়ে এইসব কথা বলে তিনি নাকি আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করেন! ২০১৬-র বিধানসভা ভোট ও ২০১৯ লোকসভা ভোটেও তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতিকে নজরবন্দি করেছিল কমিশন। ব্যতিক্রম ঘটল না এবারেও।



রাজ্যে সাতটি দফায় ভোটগ্রহণ শেষ। বৃহস্পতিবার, অষ্টম তথা শেষ দফায় ভোট হবে বীরভূমের ১০টি আসনে। কমিশন সূত্রে খবর, ভোটের মুখে অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ জমা পড়ে। প্রাথমিক তদন্তের পর বীরভূমের পুলিস সুপার যে রিপোর্ট দিয়েছেন, সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে অনুব্রতকে নজরবন্দি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগেই কিন্তু পুলিস সুপারকে বদল করেছে কমিশন। ষষ্ঠ দফার ভোটের আগে জেলা পুলিসের শীর্ষ পদে বসানো হয়েছেন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠীকে। নন্দীগ্রামে ভোটের দিনে তৃণমূলনেত্রীর সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েছিলেন তিনি।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021:শেষ দফার ভোটে মোতায়েন ৭৫৩ কোম্পানি Central Force, সবচেয়ে বেশি বীরভূমে


কী প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের?  Zee ২৪ ঘণ্টাকে দলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বললেন, 'অত্যন্ত উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট সিদ্ধান্ত। নির্দিষ্ট কোনও কারণ নেই, অভিযোগ নেই। এর থেকে অনেক আপত্তিকর অভিযোগ রয়েছে বিজেপি নেতাদের  বিরুদ্ধে'। তাঁর কথায়, 'অনুব্রত মণ্ডলের উপর যে বিজেপির কুনজর পড়েছে, তা আগেই বোঝা গিয়েছিল। এরা ভেবেছেটা কী! নির্বাচন কমিশন বারবার লজ্জাজনক ভূমিকা পালন করছে। আসল কাজগুলি করেনি বলে আদালত ভর্ৎসনা করছে, সেখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে বিজেপির দালালি করছে'।  বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের  Samik Bhattacharya) পাল্টা প্রতিক্রিয়া, 'নির্বাচন কমিশন যা এটা করে থাকে, তাহলে অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানের পরিচয় দিয়েছে'।


আরও পড়ুন: শরীর ভালো যাচ্ছে না, CBI এর কাছে ২ সপ্তাহ সময় চাইলেন Anubrata


প্রসঙ্গত, একুশের ভোটে বাংলার জয়ের লক্ষ্য়ে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছে বিজেপি। প্রচারে ঘন ঘন রাজ্যে আসছেন অমিত শাহ (Amit Shah), জেপি নাড্ডার (JP Nadda) মতোর দলের সর্বভারতীয় নেতারা। এমনকী, বাদ যাচ্ছেন না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (PM Modi)। বীরভূমেও প্রভাব বেড়েছে গেরুয়াশিবিরের। অনুব্রত মণ্ডল নিদান ছিল, ‘বিজেপিকে ঠেঙিয়ে পগার পার’।  এই মন্তব্যের জন্য তাঁকে শোকজ করেছিল কমিশন।