নিজস্ব প্রতিবেদন: নন্দীগ্রামে ভোটের দিনে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বচসা জড়িয়ে পড়েছিলেন। ষষ্ঠ দফার আগে বীরভূমের পুলিস সুপার হলেন সেই নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপার, বোলপুরের এসডিপিও ও আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিস কমিশনারকেও সরিয়ে দিল কমিশন। 'রাজ্য সরকারের সঙ্গে কি আলোচনা করা হয়েছিল? অবশ্যই না', পাল্টা টুইট তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনা সংক্রমণের মাঝেই ভোট চলছে রাজ্যে। এখনও বাকি তিন দফা। ফের ৪ জেলার পুলিসকর্তাদের বদল করল কমিশন। সরিয়ে দেওয়া হল বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমানের পুলিস সুপারকে। বাদ গেলেন না বোলপুরের এসডিপিও ও আসানসোল-দুর্গাপুরের পুলিস কমিশনারও। বৃহস্পতিবার, ষষ্ঠ দফায় ভোট হবে কাটোয়া, কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট-সহ পূর্ব বর্ধমানের ৮ আসনে। সপ্তম দফায় আসানসোল-দুর্গাপুরে, ও অষ্টম দফায় ভোট বীরভূমে।


আরও পড়ুন: WB Assembly Election 2021: করোনা আতঙ্ক, কলকাতায় আর প্রচার করবেন না Mamata


সশস্ত্র পুলিশের সেকেন্ড ব্যাটেলিয়নের এই IPS অফিসার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী। দ্বিতীয় দফার ভোটে হাইভোল্টেজ নন্দীগ্রামে বিশেষ দায়িত্ব দিয়ে পাঠানো হয় তাঁকে। বয়াল ৭ নম্বর বুথের বাইরে তখন উত্তেজনা চরমে। বুথের ভিতরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশ্নের মুখে পড়েন নগেন্দ্রনাথ ত্রিপাঠী। এই আইপিএ অফিসারের সোজাসাপ্টা জবাব ছিল, 'ম্যাডাম খাঁকি উর্দিতে দাগ নেব না। আর এমন অশান্তি হবে না।' আর তাতেই দিনের শেষে কার্যত হিরো বনে গিয়েছিলেন তিনি। এবার সেই নগেন্দ্র ত্রিপাঠিকে বীরভূমের পুলিস সুপারের দায়িত্ব দিল কমিশন। যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল। 


তৃণমূলের কী প্রতিক্রিয়া? টুইটে কমিশনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। তিনি লিখেছেন, 'ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে ও আদর্শ নির্বাচন বিধি লাগু হওয়ার ৪৫ দিন পর, ৪ পুলিস অফিসারকে বদলি করে দিল কমিশন। রাজ্য সরকারের সঙ্গে কি আলোচনা করা হয়েছিল? অবশ্যই না'।


 



প্রসঙ্গত, তৃতীয় দফায় ভোটের আগেও পুলিসে রদবদল ঘটেছিল। সেবার আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার অমিতাভ মাইতি, ডায়মন্ড হারবারের (শিল্পাঞ্চল) ডেপুটি পুলিস কমিশনার মিঠুন দে ও চন্দননগরের ডেপুটি পুলিস কমিশনার  তথাগত বসুকে সরিয়ে দিয়েছিল কমিশন।