নিজস্ব প্রতিবেদন: 'কান্দাহার বিমান অপহরণের সময়ে নিজের পণবন্দি হয়ে যেতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শর্ত দিয়েছিলেন, অন্য বন্দিদের যেন জঙ্গিরা ছেড়ে দেয়'। তৃণমূল যোগ দেওয়ার পর একথা জানালেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী যশোবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। বললেন, 'মমতা শুরু থেকে ফাইটার। আমি নিশ্চিত, বাংলার নির্বাচনে তৃণমূল বড় সাফল্য পাবে। বাংলার ভোট গোটা দেশের ভবিষ্যতের জন্যও ভীষণ জরুরি। বাংলা থেকে ২০২৪- দিল্লিতে পরিবর্তন হবে'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

বাজপেয়ী জমানায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী ছিলেন যশোবন্ত সিনহা (Yashwant Sinha)। প্রতিরক্ষামন্ত্রকের দায়িত্বও সামলেছেন তিনি। কিন্তু দলের রাশ নরেন্দ্র মোদী (PM Modi) ও অমিত শাহের (Amit Shah) হাতে চলে যাওয়ার পর গেরুয়াশিবিরের সঙ্গ সম্পর্ক খারাপ হতে শুরু করে যশোবন্তের। এমনকী, মোদী-শাহের জমানায় বিজেপির চিন্তাভাবনা গণতন্ত্র বিরোধী হয়ে উঠছে বলেও অভিযোগ করেছেন একাধিকবার। শেষপর্যন্ত ২০১৮ সালে বিজেপি সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সখ্যতা ছিল। একুশের ভোটের আগে যোগ দিলেন তৃণমূলে।


আরও পড়ুন: WB Election 2021: 'টুম্পা'র পর 'লুঙ্গি ডান্সে'র প্যারোডিতে 'লাল ফেরাও'


নন্দীগ্রামে আহত হওয়ার পর গতকাল হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সূত্রের খবর,  এদিন সকালে তৃণমূল সুপ্রিমোর সঙ্গে ৪৫ মিনিট কথা হয় যশোবন্ত সিনহার। এরপর সুব্রত মুখোপাধ্যায় (Subrata Mukherjee), সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় (Sudip Banerjee) এবং ডেরেক ও’ব্রায়েনের (Derek O'Brien) উপস্থিতিতে শাসকদলে যোগ দেন তিনি। এই বয়সে কেন আবার সক্রিয় রাজনীতিতে ফিরলেন? যশোবন্ত সিনহার (Yashwant Sinha) জবাব, 'দেশ এক অদ্ভুদ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। বিচারব্যবস্থা-সহ সমস্ত স্বশাসিত সংস্থা বিপদের মুখে। এই দেশে কৃষক, মজুর সকলেই ত্রস্ত। কারও কোন হেলদোল নেই। এখনকার কেন্দ্রীয় সরকারের একটাই লক্ষ্য, ভোটে জেতা'। তার আরও বক্তব্য, 'বাজপেয়ী জমানার বিজেপি আর এখনকার বিজেপির মধ্যে আকাশ-পাতালের পার্থক্য'।