নিজস্ব প্রতিবেদন: প্ররোচনামূলক ভাষণ দেওয়ার কারণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে আগামী ২৪ ঘণ্টা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নির্বাচন কমিশন (Election Commission)। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার ধরনার বসার কথাও ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে ঠিক বলেই মনে করছেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-শীতলকুচি গুলিকাণ্ডে মিলল চাঞ্চল্যকর তথ্য, ঘটনার সময় বন্ধ ছিল ওয়েব কাস্টিং  


সোমবার সুজন(Sujan Chakrobortti) বলেন, 'নির্বাচন কমিশন ওঁকে শো কজ করেছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে আমার মনে হয়। যেভাবে উনি প্ররোচনার সৃষ্টি করেছেন তাতে একদিন ওঁর প্রচার বন্ধ করা বেঠিক বলে মনে হয় না। কিন্তু দিলীপ ঘোষের কি মুখ বন্ধ করা যাবে? সায়ন্তন বসু বা রাহুল সিনহার  কি মুখ বন্ধ করা যাবে? যদি এদের বিরুদ্ধে ও কোনও ব্যবস্থা না নেওয়াহয় তাহলে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিরপেক্ষ বলে বিবেচিত হবে না।'


উল্লেখ্য, আধা সামরিক ও সংখ্যালঘু ভোটারদের নিয়ে মমতার ভাষণের একাংশ প্ররোচনামূলক বলে জানিয়েছে কমিশন। তার জেরে তৃণমূল নেত্রী ২৪ ঘণ্টা প্রচার করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীও, জনপ্রতিনিধিত্ব আইন ও নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করেছেন। তাঁর বক্তব্য প্ররোচনামূলক ও আইনশৃঙ্খলায় কুপ্রভাব ফেলতে পারে।


আরও পড়ুন-প্ররোচনামূলক ভাষণ! Mamata-র প্রচারে ২৪ ঘণ্টার নিষেধাজ্ঞা জারি কমিশনের  


প্রসঙ্গত, শীতলকুচির গুলি চালনার ঘটনা নিয়ে রাহুল সিংহা মন্তব্য করেছেন, 'শীতলকুচিতে(Shitalkuchi) ৪ জনের বদলে ৮ জনকে মারা উচিত ছিল। কেন কেন্দ্রীয় বাহিনী ৪ জনকে মারল, তার জন্যে শোকজ করা উচিত। যারা ভোটের লাইনে দাঁড়িয়ে ১৮ বছরের ছেলেকে প্রকাশ্যে গুলি করে তাদের নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যারা কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিকে বোমা ছো়ড়ে তাদের নেত্রী।'   


অন্যদিকে, রবিবার বরানগরে পার্নো মিত্রের প্রচারে গিয়ে বিজেপির রাজ্যসভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, 'বাংলায় দুষ্টু ছেলে আর থাকবে না। কেউ যদি বাধা দেয় শুনবেন না। কেউ বাড়াবাড়ি করলে জায়গায় জায়গায় শীতলকুচি হবে।' তার আগে সায়ন্তন বসু হুঁশিয়ারি দেন,বেশি খেলতে যেও না, শীতলকুচির খেলা খেলে দেব।