নিজস্ব প্রতিবেদন : ওসির বিরুদ্ধে তৃণমূলের হয়ে কাজ করার অভিযোগ। আর সেই অভিযোগে দ্বিতীয় দফা ভোটগ্রহণ শেষে ওসির অপসারণের দাবিতে সরব হলেন বামেরা। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এদিন মোট ৩ জায়গার ওসির বিরুদ্ধে সরব হলেন বামেরা। সিপিআই নেতা রবিন দেব বলেন, "বিষ্ণুপুরের ওসি তৃণমূলের হয়ে কাজ করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা চাইছি।" একইসঙ্গে চন্দ্রকোণা ও ভাঙড়ের ওসিরও অপসারণ চাইলেন বামেরা। একইসঙ্গে, ১৪৪ ধারা জারি থাকা সত্ত্বেও নন্দীগ্রামে কী করে এত লোকের জমায়েত হল? কেন সাধারণ ভোটাররা ভোট দিতে পারলেন না? প্রশ্ন তোলেন তিনি। অভিযোগ করেন, একদিকে মুখ্যমন্ত্রী আর অন্যদিকে বিজেপি। দুতরফেই ভোটারদের আটকে রাখা হয়েছে।


প্রসঙ্গত ভোটগ্রহণ ঘিরে এদিন উত্তেজনা ছড়ায় নন্দীগ্রামের বয়ালে। একাংশ অভিযোগ করে যে, তাঁদের ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছে না। এক্ষেত্রে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল ওঠে। অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বুথে পৌঁছতেই উত্তেজনা ছড়ায়। তখন অন্যপক্ষ ছাপ্পা ভোট দেওয়ার অভিযোগ করে। সবমিলিয়ে প্রায় ঘণ্টা দুয়েক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি থাকে বয়াল ৭ নম্বর বুথে। দুপক্ষের মধ্যে কার্যত 'হিউম্যান শিল্ড' হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিস।


রবিন দেব আরও অভিযোগ করেন, সীমান্ত সিল করা হয়নি। কেশপুরে প্রার্থী আক্রান্ত হয়েছে (বিজেপি প্রার্থী আক্রান্ত হন)। সংবাদমাধ্যম আক্রান্ত হয়েছে। সামগ্রিকভাবে এদিন ভোটগ্রহণ সংক্রান্ত সমস্ত অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের হস্তক্ষেপ দাবি করেন বামেরা। অভিযোগ করেন, "বিবেক দুবের কাছেও ব্যবস্থা চেয়ে পাইনি।" প্রশ্ন তোলেন,"অবজারভাররা কী করলেন?"


আরও পড়ুন, ফের উত্তেজনা কেশপুরে, আক্রান্ত  শিউলি সাহার এজেন্ট, কান্নায় 'ভেঙে পড়লেন' TMC প্রার্থী