নিজস্ব প্রতিবেদন: নীলবাড়ির লড়াই  নন্দীগ্রাম থেকে শুরু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভবানীপুর আসনটি বর্ষীয়ান শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়কে (Sovandeb Chatterjee) ছেড়ে দিয়েছেন দলনেত্রী। গত লোকসভা ভোটে এই ভবানীপুরের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছিল গেরুয়া হাওয়া। নিজের ওয়ার্ডেই পিছিয়ে ছিলেন তৃণমূল নেত্রী। সে দিকে ইঙ্গিত করেই বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) কটাক্ষ, 'হারের আভাস পেয়েই ভবানীপুর থেকে নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক ঝাঁপ দিলেন মমতা।'   


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভবানীপুরের পাটিগণিত     


২০১৬ সালে ভবানীপুর কেন্দ্রে দ্বিতীয়বার জিতেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তবে ২০১১ সালের তুলনায় তাঁর ভোট কমেছিল ২৯.৭৯%। কংগ্রেস প্রার্থী দীপা দাশমুন্সি ৪০,২১৯ ও মমতা পেয়েছিলেন ৬৫,৫২০ ভোট। জয়ের ব্যবধান ২৫,৩০১। লোকসভা নিরিখে ভবানীপুরে কমেছে এই ব্যবধান। তৃণমূল এগিয়ে মাত্র ৩ হাজার ১৬৮ ভোটে।


লোকসভা ভোটের ফলের সাপেক্ষে ভবানীপুর (Bhabanipur) বিধানসভার ৬৩, ৭০, ৭১, ৭২, ৭৩ ও ৭৪ নম্বর ওয়ার্ডে এগিয়ে গিয়েছে বিজেপি (BJP)। এর মধ্যে ৭৩ নম্বর ওয়ার্ডেই থাকেন তৃণমূল নেত্রী (Mamata Banerjee)।


এ দিন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) টুইট করেছেন,'হারের ভয়ে ভবানীপুর থেকে নন্দীগ্রামে ঐতিহাসিক লং জাম্প দিলেন মমতা। দৌড়তে পারেন, তবে লুকিয়ে থাকতে পারবেন না। নন্দীগ্রাম তো বটেই, মমতার জন্য বাংলায় কোনও আসনই নিরাপদ নয়। ১০ বছর ধরে মা-মাটি-মানুষের নামে মানুষের উপর অত্যাচার ও লুঠতরাজ করেছেন।'          




ভবানীপুর (Bhabanipur) কেন্দ্রটি বাঙালিদের পাশাপাশি বড় সংখ্যায় অবাঙালি ভোটারও রয়েছেন। গত লোকসভা ভোটের ফলাফলে ইঙ্গিত মিলেছিল, রাজ্যের অবাঙালিদের কিয়দংশই বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। সেই পরিসংখ্যানে উদ্বুব্ধ হয়ে মমতার গড় ভবানীপুরেই তৃণমূলকে মাত দেওয়ার স্বপ্ন দেখছে বিজেপি (BJP)। অতিসম্প্রতি এই কেন্দ্রে দলীয় কর্মসূচিও করেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি। বৈঠক সেরেছেন স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে। নন্দীগ্রামে মমতাকে আধ লাখে ভোটে হারানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তেমন ভবানীপুরেও তৃণমূল পর্যূদস্ত করতে মরিয়া গেরুয়া শিবির। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, মমতার  (Mamata Banerjee) এই আসনবদলের সিদ্ধান্ত বাংলার রাজনৈতিক ইতিহাসে হতে চলেছে অন্যতম অধ্যায়। সুখের না বিরহের, তা বোঝা যাবে ২ মে ফলপ্রকাশের পরে।


আরও পড়ুন- WB Assembly Election 2021: 'টালিগঞ্জে আমিও দাঁড়াতে পারি', বিকল্প হাতে রাখছেন Mamata?