নিজস্ব প্রতিবেদন: ষষ্ঠা দফা ভোট চলাকালীন যখন কমিশনের ভূমিকায় তীব্র অসন্তোষ প্রকাশ করল কলকাতা হাইকোর্ট (Calcutta High Court), তখন দফা কমানোর দাবিতে অনড় তৃণমূল। দলের তরফে শেষ দু'দফার ভোট একসঙ্গে করার আর্জি জানিয়ে ফের চিঠি দেওয়া হল কমিশনে। তাঁদের বক্তব্য, '২০১৬ সালে যে পরিস্থিতিতে ভোট হয়েছিল, তার সঙ্গে এখনকার পরিস্থিতির কোনও তুলনাই চলে না'। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

ভোটবঙ্গে করোনার আতঙ্ক। আক্রান্তের সংখ্যা ১১ হাজার ছুঁইছুঁই। সাধারণ মানুষই শুধু নন, সংক্রমণের কবলে পড়েছেন বেশ কয়েকজন প্রার্থীও। এমনকী, মুর্শিদাবাদে সংযুক্ত মোর্চার দু'জন প্রার্থীর মৃত্যু হয়েছে। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনে (Election Commission) দরবার করেছিলেন ডেরেক ও'ব্রায়েন (Derek O'Brien)। কিন্তু সেই দাবি পত্রপাঠ খারিজ করে দিয়েছে কমিশন।


কেন? নির্বাচন কমিশনের যুক্তি, এবারের নির্বাচন ৮ দফায় হলেও গতবারের তুলনায় ভোট প্রক্রিয়া সম্পন্ন হচ্ছে দ্রুত। দিনের সংখ্যা কমে হয়েছে ৬৬। ২০১৬ সালের চেয়ে ১১ দিন কম। এমনকী, গতবারের তুলনায় পোলিং বুথও বাড়ানো হয়েছে ৩২%। কোভিড পরিস্থিতি প্রচারে বিধিনিষেধ সংক্রান্ত নির্দেশিকা কথা উল্লেখ করে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে, নির্বাচনের নির্ঘণ্ট নানা বিষয়ের উপর ভিত্তি করে স্থির করা হয়, চাইলেই বদল করা যায় না। 


আরও পড়ুন: সার্কুলার নয় পদক্ষেপ চাই, করোনাকালে কমিশনকে তুলোধনা কলকাতা হাইকোর্টের


চুপ করে বসে নেই তৃণমূলও। কমিশনকে পাল্টা চিঠিতে তারা জানিয়েছে, 'ভোটে সময়সীমা ১১ দিন কমানোটা কোনও বড় ব্য়াপার নয়। আমরা এখন বিশ্বজোড়া অতিমারি পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছি। অন্য পাঁচটি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে সর্বোচ্চ তিন দফায় এপ্রিলে ভোট মিটে গিয়েছে। অথচ কোভিডের ঝুঁকি সত্ত্বেও পশ্চিমবঙ্গে ৮ দফায় ভোট করানোর সিদ্ধান্তে অনড় কমিশন'! সেইসঙ্গে কয়েকটি রাজনৈতিক দল যে এখনও বড় জমায়েত করে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে, সেকথাও উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে। 


আরও পড়ুন: এক দেশ, এক দল, এক নেতা বলে চিৎকার করে অথচ টিকার দাম এক নয়: Mamata


কমিশনের যুক্তি মেনে নিয়েও আপদকালীন পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রমী পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছে তৃণমূল। তারা প্রশ্ন তুলেছে, কোভিডের জন্য যদি প্রচারের সময়সামী কমানো হয়, তাহলে শেষ ২ দফায় ভোট কেন একসঙ্গে করা যাবে না? বস্তুত, করোনা পরিস্থিতিতে ভোট নিয়ে হাইকোর্টেও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছে কমিশন। আদালতের পর্যবেক্ষণ, 'একটা নির্দেশিকা দিয়ে জনগণের উপরে সব ছেড়ে দিয়েছে কমিশন। আমরা পদক্ষেপ চাইছি'।