জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: আয়-ব্যয়ের ভারসাম্য রাখাই এবার রাজ্য বাজেটের প্রধান বিষয়। আয়ের তেমন রাস্তা নেই। তাই খরচের দিকের উপরেও বিশেষ নজর রাখতে হচ্ছে সরকারকে। সেসব মাথায় রেখে বিধানসভায় ২০২৩ সালের আর্থিক বাজেট পেশ করছেন চন্দ্রিম ভট্টাচার্য।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের উদ্যোগে মানুষের জন্য একটি অনুভূতিশীল সরকার গড়ে তুলেছে। দুয়ারে সরকার প্রকল্পের মাধ্যমে কোনও কোটি মানুষের কাছে আমরা পৌঁছতে পেরেছি। এটি এখন বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হচ্ছে। মোট ৫টি পর্যায়ে ৩.৭১ লাখ শিবির অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওইসব শিবিরে ৯.০৬ কোটি মানুষ পরিষেবা পেয়েছেন। এর জন্য আমরা রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছি।


২০২২-২৩ এর প্রথম অর্ধে ভারতের আর্থিক বৃদ্ধি ৬.৯৫ শতাংশ হবে বলে আশা করা হচ্ছে সেখানে বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি ৮.৪১ শতাংশ হবে বলে আশা করছি।


রাজ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলির ঋণের ক্ষেত্রে , এমএসএমই সেক্টারে, দক্ষতা উন্নয়ণে, সড়ক নির্মাণে, ই-গভনেন্সে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছে।


কেন্দ্রের ভুল আর্থিক নীতির ফলে মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। নোটবন্দি, অপ্রস্তুত অবস্থায় জিএসটি চালুর ফলে শুধুমাত্র সাধারণ মানুষ কষ্ট পয়েছেন তা নয়, দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোতেও আঘাত এসেছে।


প্রশাসন এখন তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। গত কয়েক বছরে রাজ্যের রাজস্ব ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ডিএসটি, স্ট্যাম্প ডিউটি, আবগারি, পরিবহণ থেকে আসে আমাদের রাজস্ব। জিএসটি রিটার্ন একশো ভাগ জমা করার লক্ষ্যে একশোভাগ নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে রাজ্য বিশেষ নীতি গ্রহণ করেছে। এই আর্থিক বছরে রিটার্ন জমা ৭০ থেকে ৯৫ শতাংশ উন্নিত হয়েছে। গত আর্থিক বছরে জিএসটি বেড়েছে।এই হার ২৪.৪৬ শতাংশ।


রাজ্যে আবাসন ও রিয়েল স্টেট শিল্পে জোয়ার এসেছে। রাজ্যের অধিকাংশ জনকল্যাণমূলক প্রকল্প দেশ জুড়ে প্রশংসিত হয়েছে। কেন্দ্রে পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত ওবিসি পড়ুয়াদের বৃত্তি বন্ধ করেছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার তাদের জন্য মেধাশ্রী প্রকল্প ঘোষণা করেছে। প্রতিটচি ওবিসি পড়ুয়া বছরে ৮০০ টাকা বৃত্তি পাবে।


রাজ্যে ৩৩ হাজার ৯০৪ একর জমিকে সেচের আওতায় আনা সম্ভব হয়েছে।


রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের অতিরিক্ত ৩ শতাংশ হারে ডিএ দেবে সরকার। পেনশনভোগীরাও ওই সুবিধে পাবেন।  


সামাজিক দায়বদ্ধতার দিক থেকে রাজ্যের ১.৮৮ কোটি মহিলাকে লক্ষ্ণীর ভান্ডারের আওতায় এনে সামাজিক সুরক্ষা প্রদান করছি। ৬০ বছর বয়সের পরেও তাদের ভাতা যাতে বন্ধ না হয় তার জন্য লক্ষ্মীর ভান্ডার প্রাপকরা ৬০ বছর বয়স অতিক্রম করলে সোজাসুজি বার্ধক্যভাতর আওতায় চলে আসবেন। প্রতিমাসে ১ হাজার টাকা পেনশন পাবেন। 


যুবকদের জন্য আনা হচ্ছে ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড। ১৮-৪৫ বছরের মানুষকে ক্ষুদ্র উদ্যোগ স্থাপনের জন্য সর্বাধিক ৫ লাখ টাকা ঋণ পেতে পারবে। এতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে। রাজ্য সরকার ২৫ হাজার টাকা ভর্তুকি দেবে।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)