জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য পুলিসের ডিজি রাজীব কুমার। এলাকার এক মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গোপন জবানবন্দি দেন। তার পরেই অভিযুক্ত শিবু হাজরা ও উত্তম সর্দারের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা য়োগ করা হয়। তার আগে এরকম কোনও অভিযোগ পুলিসের কাছে ছিল না  বলে জানালেন রাজীব কুমার। পাশাপাশি সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের গ্রেফতার না হওয়ার দায় একপ্রকার ইডির উপরেই চাপালেন ডিজি।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-সন্দেশখালিকাণ্ডে শিবু ও উত্তমের বিরুদ্ধে গণধর্ষণের ধারা যোগ পুলিসের


গোটা ঘটনায় তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহান এখনও অধরা। রাজীব কুমার বলেন, এলাকায় যে কিছু ঘটেছে তা অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। শাহজাহানের নাম উল্লেখ না করে রাজীব কুমার বলেন, যে ব্যক্তির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠছে তার বিরুদ্ধে ইডি-তে অভিযোগ ছিল। ইডি কি তাকে গ্রেফতার করেছিল? যে কোনও লোকের বিরুদ্ধেই অভিযোগ হোক না কেন, আমরা তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেব।


সন্দেশখালির বিভিন্ন জায়গা ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এনিয়ে রাজীব কুমার বলেন, আমরা ওইসব এলকায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে দেখব। যেসব এলাকায় ১৪৪ ধারার প্রয়োজন নেই সেখান থেকে ১-২ দিনের মধ্যে তা তুলে নেব যাতে সাধারণ মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। জমি কেড়ে নেওয়া র অভিযোগ উঠছে। ওইসব ক্ষেত্রে ল্যান্ড ডিপার্টমেন্টের কিছু অফিসারদের নিয়ে এলাকায় ঘুরে ঘুরে অভিযোগের তদন্ত করা হবে। কেউ যদি অভিযোগ করতে চান তাহলে সেই অভিযোগ নেওয়া হবে। কাল থেকে ক্যাম্প করা হবে।
 
কোনও কোনও মহল থেকে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে সন্দেশখালিতে যেখানে প্রাণহানির মতো ঘঠনা ঘটেনি সেখানে কেন ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ডিজি বলেন, কিছু মানুষ সন্দেশখালির ঘটনায় সাম্প্রদায়িক রঙ দিতে চাইছিলেন, কেউ কেউ এমন বলছিলেন যে এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বলে কিছু নেই। তাই এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করতে হচ্ছে। সত্যি যা-ই হোক আমরা তার মুখোমুখি হতে চাই। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে তার বিরুদ্ধে তদন্ত হবে এবং ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একটি ভিডিয়ো সার্কুলেট হয়েছিল। সেই ভিডিয়োর সত্যাতা যাচাই না করেও আমরা মহিলাদের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাদের বয়ান রেকর্ড করেছিলাম। তার বলেছিল সবটাই তারা শুনেছে। কোনও সত্যি জানার জন্য অনেককিছু ধাপ থাকে। সেভাবেই এগোচ্ছি আমরা।


সন্দেশখালির পরিস্থিতি নিয়ে রাজীব কুমার আরও বলেন, এলাকায় শান্তি না এলে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে যাতে পরিস্থিতি আরও খারাপ না হয়ে যায়। এক দুদিনের মধ্যে যেসব এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি হয়েছে তার সংখ্যা কমিয়ে দেওয়া হবে। কোনও রাজনৈতিক নেতাকে আটকানোর কোনও উদ্দেশ্য আমাদের নেই। গোটা ঘটনাটিকে একটি সাম্প্রদায়িক রঙ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছিল। বোঝানোর চেষ্টা হচ্ছিল মহিলাদের টার্গেট করা হচ্ছে। ৬ ফেব্রুয়ারির আগে এরকম অভিযোগ আসেনি। একজন মহিলা ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে বয়ান দিয়েছেন। তা ছাড়া আর কোনও অভিযোগ আমাদের কাছে জমা পড়েনি।


(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp