নিজস্ব প্রতিবেদন: প্রাথমিকে নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে আইনি জটিলতা অব্যাহত। হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল রাজ্য সরকার। যাঁরা ইতিমধ্যেই চাকরি পেয়ে গিয়েছেন, তাঁরাও আবার আলাদাভাবে মামলা করেছেন ডিভিশন বেঞ্চ। আগামী সপ্তাহে দুটি মামলারই শুনানি হওয়ার সম্ভাবনা।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্যানেল তৈরি হয়ে গিয়েছিল ২০১৪ সালে। সম্প্রতি প্রাথমিকে ১৬,৫০০ শিক্ষকপদে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হতেই কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। মামলাকারীদের দাবি, রাতে মেসেজ পাঠিয়ে বা ফোন করে নিয়োগপ্রক্রিয়া চলছে। লিখিত পরীক্ষা ও ইন্টারভিউয়ের নম্বর প্রকাশ করা হয়নি। অনিয়ম হয়েছে মেধাতালিকাতেও। মামলাটির শুনানি হয় হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে। 


আরও পড়ুন: হাইকোর্টের নির্দেশে স্বস্তিতে Suvendu, অস্বস্তি Abhishek-এর


প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের কাছে আদালতের প্রশ্ন ছিল, পরীক্ষা নেওয়ার পর সফল কর্মপ্রার্থীদের তালিকা বা মেধা তালিকা কেন প্রকাশ করা হয়নি? সংসদের তরফে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে সাইবার ক্রাইম ঘটায় মেধাতালিকা প্রকাশ করা সম্ভব হয়নি।  ২২ ফ্রেরুয়ারি প্রাথমিকে নিয়োগের উপর ৪ সপ্তাহের অন্তবর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করেই এবার ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করল রাজ্য সরকার।


আরও পড়ুন: মাদকাসক্ত স্বামীর প্ররোচনাতেই আত্মহত্যা না খুন? শিল্পপতি কন্যার মৃত্যুতে ঘনাচ্ছে রহস্য


প্রসঙ্গত, প্রাথমিক নিয়োগের অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি হওয়ার পর প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে 'কোর্টকে ভালো করে বোঝানো'র পরামর্শ দিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বলেছিলেন, 'টেটে (TET) অনিয়ম হয়েছে বলে শুনিনি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদকে বলেছি কোর্টকে ভালো করে বোঝান। তারা মনে করলে উচ্চ আদালতেও যেতে পারে। আমরা দ্রুত নিয়োগ শেষ করতে চাই।'  তাঁর আরও বক্তব্য, 'নিয়োগ আটকে যাওয়া মানে যাঁরা প্যানেলভূক্ত আছেন, তাঁদের বয়স ফুরিয়ে যাবে। ফলে যোগ্যতামান হারাবেন। তা আমরা কখনই চাই না।'