নিজস্ব প্রতিবেদন: নিমতিতায় বিস্ফোরণের পর মন্ত্রী জাকির হোসেনকে জেড ক্যাটেগরির নিরাপত্তা দিল রাজ্য সরকার। পাইলট কার ও এসকট কার তো বটেই, এখন থেকে সর্বক্ষণ মন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন তিনজন নিরাপত্তারক্ষীও। মাওবাদী এলাকায় গেলে দেওয়া হবে বুলেটপ্রুফ গাড়ি। মোট ২২ জন পুলিসকর্মী শ্রম দফতরের প্রতিমন্ত্রীর নিরাপত্তায় দায়িত্ব সামলাবেন বলে জানা গিয়েছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরণে IED ব্যবহারের তত্ত্বেই শিলমোহর দিয়েছেন ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা। গতকাল দফায় দফায় ঘটনাস্থলে গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করেন তাঁরা। দীর্ঘক্ষণ ধরে তল্লাশি চলে স্টেশন চত্বরে। সূত্রের খবর, সিট বা বিশেষ তদন্তকারী দলকে মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে,রাজ্যের শ্রম প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেনের উপর হামলায়  প্রশিক্ষিত হাতে তৈরি উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন IED ব্যবহার করা হয়েছে। সঙ্গে ছিল অ্যান্টি হ্যান্ডিং ডিভাইস। সেক্ষেত্রের এই ঘটনার সঙ্গে JMB  বা অন্য কোনও জঙ্গি গোষ্ঠীর জড়িত থাকার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।


আরও পড়ুন: নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু,'মানুষ ভালভাবে ভোট দিন', আশ্বাস কেন্দ্রীয়বাহিনীর


জানা গিয়েছে, ঘটনার দিন প্ল্যাটফর্মে পড়ে থাকা একটি ব্যাগ সরাতে যান মন্ত্রীর এক অনুগামী। কিন্তু সেই ব্যাগটিতে হাত দিতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, স্রেফ উচ্চক্ষমতা সম্পন্ন IED নয়, হামলাকারীরা অ্যান্ট হ্যান্ডিং ডিভাইসও ব্যবহার করেছিল। সেকারণেই ব্যাগ হাত দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিস্ফোরণ ঘটেছে।  এখন প্রশ্ন হল, নিমতিতা স্টেশনে বিস্ফোরক ওই ব্যাগটি কখনও রাখা হয়? কতক্ষণই বা সেটি প্ল্যাটফর্মে পড়েছিল? প্রত্যক্ষদর্শীদের সন্ধান করছেন তদন্তকারীরা। ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজন হকারকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। 


আরও পড়ুন: লক্ষ লক্ষ টাকার কোকেন-সহ গ্রেফতার BJP যুব নেত্রী, কে এই পামেলা গোস্বামী?


সূত্রের খবর, বুধবার রাতে মন্ত্রী জাকির হোসেন যখন ট্রেন ধরতে নিমতিতা স্টেশনে পৌঁছন, তার কিছুক্ষণ আগে ওই স্টেশনে রেলেরই একটি কর্মসূচি পালিত হয়। তদন্তকারীরা মনে করছেন, ব্যাগটি ঠিক কখন থেকে প্ল্যাটফর্মে পড়েছিল, তা জানা অত্যন্ত জরুরি। সেক্ষেত্রে মন্ত্রীকে টার্গেট করেই হামলা চালানো হয়েছিল কিনা, সে বিষয়ে ইঙ্গিত মিলতে পারে।