ওয়েব ডেস্ক: গ্রাহকদের ওপর বোঝা না চাপিয়ে আয় বাড়ানোর পথে হাঁটছে রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদ। সিইএসসি-র মতো ইলেকট্রিক বিলে এবার বিজ্ঞাপন দিয়ে রাজস্ব বাড়ানোর প্রস্তাব । মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাব পাঠিয়েছেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। সিইএসসির বিদ্যুত্‍ বিলে চোখে পড়ে এমনই বিজ্ঞাপন। গ্রাহকদের ওপর চাপ না বাড়িয়ে আয় বাড়ানোর এই পথেই হাঁটতে চলেছে রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদ। CESC-র মতোই এবার বিদ্যুত্‍ বিলে বিজ্ঞাপন নেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছে WBSEDCL। শুধু তাই নয়, রাজ্যের নানা প্রান্তে বিদ্যুত্‍ দফতরের অফিস ছাড়াও ইলেকট্রিক পোস্টে হোর্ডিং লাগাবে পর্ষদ। সেখানে বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি তাদের বিজ্ঞাপন দিতে পারবে।  


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন যে তেরঙ্গাকে পতপত করে উড়তে দেখে গর্বিত হন, জানেন ওটার নকশা করেছিলেন কে?


দুহাজার সাতে স্বাধীন সংস্থায় পরিণত হয় WBSEDCL।উত্পাদন খরচ সহ নানাবিধ খরচ এতদিন নিজেরাই মিটিয়েছে। রাজ্য সরকারের সাহায্য নিতে হয়নি। কিন্তু কাঁচামালের দাম বেড়ে যাওয়ায় সম্প্রতি সমস্যায় পড়েছে পর্ষদ। দুহাজার পনেরো-ষোলো অর্থবছরে সমস্ত খরচ বাবদ প্রায় দুশো আট কোটি টাকার হিসাব পাওয়ার রেগুলেটরি কমিশনকে দেয় রাজ্য বিদ্যুত্‍ পর্ষদ। কিন্তু কমিশন মাত্র একশো তিরানব্বই কোটি আয়ের অনুমতি দেয় পর্ষদকে। ফলে ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে বিদ্যুত্‍ পর্ষদকে। এই পরিস্থিতি সামলাতে রাজ্যের কাছ থেকে ঋণ নিতে হয়েছে। এমনকি বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর জন্য পাওয়ার রেগুলেটরি কমিশনের কাছে বারবার দরবারও করতে হয়েছে পর্ষদকে।


আরও পড়ুন আজকের দিনে জন্মগ্রহণ করেই কী কবি পেয়েছিলেন 'আসল' স্বাধীনতা!


কিন্তু সমস্যা সেখানেও। মুখ্যমন্ত্রী বলেই দিয়েছেন, গ্রাহকদের ওপর বোঝা বাড়ানো চলবে না। ফলে ক্ষতি সামলাতে CESC-র কৌশলই এখন পাখির চোখ পর্ষদের। মুখ্যমন্ত্রীর কাছে প্রস্তাবও পাঠিয়ে দিয়েছেন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর আশা, এমন একটি  প্রস্তাবে মুখ্যমন্ত্রীর সায় মেলা শুধু সময়ের অপেক্ষা।


আরও পড়ুন  পদক হাতছাড়া হওয়ার পর কী বললেন দীপা কর্মকার?