Weather Update: অবশেষে স্বস্তি, দক্ষিণবঙ্গের ৪ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শোনাল হাওয়া অফিস
Weather Update:আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই গরম দক্ষিণবঙ্গ বজায় থাকবে। একই পরিস্তিতি হবে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকচি জেলায় তাপমাত্র কমবে। ২২ তারিখ থেকে তাপপ্রবাহ কমবে
অয়ন ঘোষাল: প্রবল গরমে ভাজাভাজা গোটা রাজ্য। বেলা বাড়লে বাইরে বের হওয়ার উপায় নেই। অন্যদিকে, রাতে ঘুম প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এরকম এক অবস্থায় কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনাল আবহাওয়া দফতর। সেটি হল বৃষ্টির খবর।
আরও পড়ুন-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাজিরার নোটিস সিবিআইয়ের, আগামিকালই নিজাম প্যালেসে অভিষেক!
দক্ষিণবঙ্গে কলকাতা সংলগ্ন ৪ জেলায় বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা শোনাল হাওয়া অফিস। তবে তাতে গরমের হাত থেকে খুব বেশি যে রেহাই মিলবে তার তা বলা যাচ্ছে না। আগামী ২০ এপ্রিলের পর বিশেষ করে ২১ ও ২২ তারিখ দক্ষিণর ৪ জেলা ও উত্তরের ৫ জেলায় বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বৃষ্টি হতে পারে। কিন্তু এই হালকা বৃষ্টি দাবদাহ থেকে দীর্ঘস্থায়ী কোনও স্বস্তি আনতে পারবে না। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ মিলিয়ে রাজ্যের ১৭ জেলায় বর্তমানে তাপপ্রবাহের পরিস্থিতি চলছে। তাতে এই হালকা বৃষ্টি হয়তে কয়েক ঘণ্টার জন্য স্বস্তি দিতে পারে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, পূর্ব মোদিনীপুর, বর্ধমান ও বাঁকুড়ায়। এর পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের কার্শিয়াংয়ে বৃষ্চি হতে পারে। তবে কলকাতার জন্য ভালো কোনও খবর নেই।
আবহাওয়া দফতরের তরফে বলা হয়েছে, আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত এই গরম দক্ষিণবঙ্গ বজায় থাকবে। একই পরিস্তিতি হবে মালদা ও দুই দিনাজপুরে। উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকচি জেলায় তাপমাত্র কমবে। ২২ তারিখ থেকে তাপপ্রবাহ কমবে।
উল্লেখ্য, কলকাতার তাপমাত্রা অনেকদিন আগেই ৪০ ডিগ্রী ছুঁয়েছে। গরমে নাজেহাল কলকাতাবাসী।এই গরমে সবচেয়ে বেশি কষ্টে রয়েছে কলকাতা বন্দর অঞ্চলের ৭৭, 78 ও ৭৯ নম্বর ওয়ার্ডের মানুষজন। তাদের বক্তব্য, বিগত কয়েকদিন ধরেই রাত্রি বারোটার সময় এই তিনটি ওয়ার্ডের বিদ্যুৎ চলে যাচ্ছে। আবার পরের দিন সকাল পাঁচটার সময় বিদ্যুৎ আসছে। সাধারণ মানুষেরা রাত্রিবেলায় ঠিকমত ঘুমোতে পারছে না, কারণ এলাকায় পুরোপুরি বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে থাকছে। এলাকায় বহু মানুষজন অসুস্থ। তারা গরমের মধ্যে নাজেহাল অবস্থায় দিন কাটাচ্ছে। এই নিয়ে কলকাতা পোর্ট এর তিনটি ওয়ার্ডের কংগ্রেস সমর্থকরা আজকের সিএসসি অফিসের সামনে বিক্ষোভ দেখায় এবং সিএসসি অফিসে গিয়ে একটা ডেপুটেশন জমা দেয়। সিইএসসিকে ৪৮ ঘন্টা সময় দিয়েছেন তারা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে কংগ্রেসের তরফ থেকে সিএসসি অফিস ঘেরাও ও তারাতলা সিএসসি অফিসের সামনে রাস্তা অবরোধ করা হবে বলে জানানো হয়।