নিজস্ব প্রতিবেদন: মুখে প্লাস্টিক ঢাকা, হাতের শিরা কাটা, রক্তে ভেসে যাচ্ছে মেঝে। পাশে পড়ে রয়েছে সার্পনারের ব্লেড, তিনপাতার সুইসাইড নোট আর রক্তমাখা পেন। নাহ! এ কোনও সিনেমার প্লট নয়, বাস্তব ঘটনা। তবে ঘটনার সঙ্গে হুবহু মিল রয়েছে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি ওয়েব সিরিজের। গতকাল জিডি বিড়লা স্কুলের শৌচাগার থেকে এভাবেই উদ্ধার হয় দশম শ্রেণির ছাত্রী কৃত্তিকার মৃতদেহ।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তদন্তে জানা গিয়েছে, অবসরে বেশিরভাগই ওয়েবসিরিজ দেখত কৃত্তিকা। তাহলে কী আত্মহত্যার প্ররোচনা মিলেছিল ওই ওয়েবসিরিজ থেকেই। সেই কারণেই কি ফিল্মি কায়দায় শিরা কেটে এবং প্লাস্টিকে নিজের শ্বাসরোধ করে মৃত্যুর পথ বাছল নাবালিকা? এমন পদ্ধতির ভাবনা এল কী করে তাঁর মাথায়, উঠছে একের পর প্রশ্ন।  প্রাথমিক তদন্তে গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, রীতিমতো পূর্বপরিকল্পিত এই সিদ্ধান্ত। সে জানত শুধুমাত্র শিরা কাটায় মৃত্যু নাও হতে পারে আর সেই কারণেই তৈরি ছিল প্লান বি-ও অর্থাৎ শ্বাসরোধের পরিকল্পনা। 


আরও পড়ুন: ছাত্রী মৃত্যুর রহস্য লুকিয়ে স্কুলেই, মনে করছে গোয়েন্দা বিভাগ


বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সম্প্রতি বেলাগাম জীবনযাপন শিশুমনে প্রভাব ফেলছে। পাশাপাশি বড়পর্দায় সেনসরের নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ওটিপি প্লাটফর্মের ওয়েবসিরিজে তা নেই। ফলসরূপ প্রকাশ্যেই দেখানো হয় উদ্যম যৌনতা, হিংসা আর তা থেকেই প্রভাবিত হচ্ছে খুদে মন। বিস্তীর্ণ জগৎ হাতের মুঠোয় চলে আসার কারণেই এই ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার জেন ওয়াই। অন্যদিকে একাধিক মারণ গেমের প্রভাবও প্রকট ছোটদের ওপর। যা অবসাদগ্রস্থ মনকে আরও ভারাক্রান্ত করে দিতে পারে।



সব মিলিয়ে দানা বেঁধেছে ছাত্রীর মৃত্যুরহস্য। খতিয়ে দেখা হচ্ছে তাঁর সোশাল নেটওয়ার্কিং সাইটের গতিবিধি। দেখা হচ্ছে কৃত্তিকার মোবাইলের কললিস্ট।