নিজস্ব প্রতিবেদন: 'মতের মিল না হলে সংগঠনের মধ্যে বলতে হয়'। দলের 'বেসুরো' নেতাদের বার্তা দিলেন রাজ্য় বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (West Bengal President Sukanta Mazumder)। জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে বললেন, 'এটা অভ্যন্তরীণ সমস্যা। আমরা নিরাময় করে নিতে পারব'।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

গেরুয়াশিবিরের অন্দরে নয়া কমিটি নিয়ে ক্ষোভ ছিলই। একের এক দলের হোয়াটস অ্যাপ গ্রুপ ছেড়েছেন ৫ মতুয়া বিধায়ক। বাদ যাননি বনগাঁর সাংসদ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরও। এবার আর কোন রাখঢাক রাখলেন না 'বেসুরো' নেতারা। 


এদিন কলকাতায় পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বৈঠক করলেন জয়প্রকাশ মজুমদার, সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারিরা। স্রেফ বৈঠকে যোগ দেওয়াই নয়, সাংবাদিকদের সামনে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বে বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন শান্তনু ঠাকুর (Shantanu Thakur)। বললেন, 'উপরের নেতৃত্বকে ভুল বার্তা দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। ৯০ শতাংশকে বাদ রেখে কীভাবে কমিটি গঠন করা হল? আমরা এর বিরোধিতা করছি। একজন ব্যক্তি গোটা দলকে হাতে রাখছে চাইছেন। সংগঠনের একজন নেতা দলের পক্ষে ক্ষতিকর। অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের সরিয়ে কমিটিগুলি হস্তগত করছেন। একজনের জন্য দলের ক্ষতি মেনে নেওয়া যায় না'। এমনকী, শাসকদলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগও করলেন।


আরও পড়ুন:  BJP: পাল্টা কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত 'বেসুরো' নেতাদের? দলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ মোদীর মন্ত্রীর


জি ২৪ ঘণ্টাকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বলেন, 'এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। দল এই মতের সঙ্গে সহমত পোষণ করে বলে মনে করি না। আমাদের রেজিমেন্টের পার্টি। আমাদের দল রেজিমেন্টের পার্টি। কিন্তু আপনি নিজের ব্যক্তিগত মত প্রকাশ করতে পারবেন না, এমন দল নয়। উপযুক্ত জায়গা আছে, উপযুক্ত পরিসর আছে। আমাদের কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আছে। যাঁদের খুব সহজে ছোঁয়া পাওয়া যায়। সেখানে বললে সুরাহা আছে। পাবলিক বা মিডিয়া-কে বললে, কয়েকদিন মিডিয়া মারফৎ ভেসে থাকা যায়, কিন্ত বিশেষ লাভ হয় বলে আমি মনে করি না'। কিন্তু এই ঘটনা কি দলের পক্ষে খুব ভালো বিজ্ঞাপন? রাজ্য সভাপতির জবাব, 'এ রাজ্যে বিজেপি খুব তাড়াতাড়ি বেড়েছে। এই বড় হওয়ার মুহুর্তে বিজেপির সঙ্গে প্রচুর মানুষ যুক্ত হয়েছে। যাঁরা যুক্ত হয়েছেন, তাঁরা হয়তো বিজেপি নীতি আদর্শ জানেন না, জানতে পারেননি। সেজন্যই বিচ্যুতি'।


 



মাত্র কয়েক আগেই দায়িত্ব দিয়েছেন। বিজেপিতে কিন্তু ডামাডোল চলছেই। রাজ্য সভাপতি হিসেবে পরিস্থিতি কী সামাল দিতে পারছেন? সুকান্ত মজুমদার বললেন, 'সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আগামিদিনে কিছু সমস্যা খুব তাড়াতাড়ি সমাধান হবে। আবার কিছু সমস্যা সমাধান হয় না, সেটাও মনে রাখতে হবে'।  বিজেপি রাজ্য সভাপতি কথায়, 'নতুনরা এলে পুরনোদের জায়গায় ছেড়ে দিতে হয়। স্বাভাবিক কারণেই পুরনোদের দুঃখ হয়। সেই দুঃখ মেটানো যায় না। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সব ঠিক হয়ে যায়'। সঙ্গে প্রশ্ন, 'এখনও পর্যন্ত কেউ কি বলেছে, সুকান্ত মজুমদার পরিস্থিতি সামাল দিতে পারছে না'?


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)