নিজস্ব প্রতিবেদন: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও বিজেপি নেতা প্রলয় পালের ফোনালাপ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)। তবে একইসঙ্গে তাঁর দাবি,'ফোন করে থাকলে বেশ করেছেন। মমতা (Mamata Banerjee) দলের পুরনো কর্মীকে ফোন করতেই পারেন।' ভোটভিক্ষা চাইছেন মমতা, খোঁচা দিলেন নন্দীগ্রামে বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারী।    


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

এ দিন Zee ২৪ ঘণ্টাকে কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh) বলেন,'অমিত মালব্য (Amit Malviya) কী বলবে, তার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন নেই। তর্কের খাতিরে অডিয়ো সত্য হলেও বেশ করেছেন। কথোপকথন শুনে বোঝা যাচ্ছে, ফোনের ওপারে রয়েছেন পুরনো দিনের তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। কোনও একটা পরিবার মমতার হয়ে কাজ করেছেন। অমৃত তারা খেয়েছে, বিষটা দলের জন্য রেখে গিয়েছে। নন্দীগ্রাম আন্দোলনের জন্য কলকাতা থেকে দিল্লি কাঁপিয়ে বেরিয়েছেন মমতাই।' কুণালের  (Kunal Ghosh) সংযোজন, 'প্রকাশ্যেই তো মমতা পুরনো কর্মীদের ফিরে আসার বার্তা দিয়েছেন। প্রলয় পালের ফোন নম্বর নিয়ে বসে নেই মমতা। নন্দীগ্রামের প্রার্থীকে কেউ বলেছেন, প্রলয় তৃণমূল করত। ক্ষোভবিক্ষোভ থাকতে পারে। মমতা ফোন করে থাকলে এটা তাঁর মহানুভবতা। উনি বিজেপি কর্মীকে ফোন করেননি। অভিমানে দল ছেড়েছেন এমন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীকে করেছেন।'
 
ফোনালাপ ফাঁস করা উচিত হয়নি বলেও মনে করেন কুণাল (Kunal Ghosh)। তাঁর কথায়,'বিজেপির এক বড় নেতা দক্ষিণ কলকাতায় দেখা করতে এসেছিলেন। তাঁকে সিবিআই আর ইডির নোটিস পাঠিয়ে আটকেছিল। আমরা ভদ্রতার খাতিরে ফোন করি। একজন প্রার্থী সমস্ত দলের কর্মীদের ফোন করার অধিকার আছে। দোষের কিছু নেই।'


প্রত্যাশিতভাবে মমতা-প্রলয়ের ফোনকাণ্ডকে কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। তিনি বলেন,'এটা তৃণমূল নেত্রীর হতাশা ও দেউলিয়ার বহিঃপ্রকাশ। প্রলয় পাল জেলার সহ-সভাপতি। ভোটের ৫দিন আগে বিরোধী দলের নেতাকে ফোন করে ভোটভিক্ষা চাইছেন। নন্দীগ্রামে পার্টির নিজের কর্মীদের উপরে ভরসা নেই ওঁর। আমি আসার অনেক আগে থেকে প্রলয় পাল বিজেপি করে। সবাইকে সতর্ক করেছে। মমতা এমন অনেককে ফোন করতে পারেন।'


আরও পড়ুুন- WB Election Voting first phase: অডিয়ো: 'আমাদের একটু সাহায্য করে দাও না,' নন্দীগ্রামের BJP নেতাকে ফোন Mamata-র