নিজস্ব প্রতিবেদন: করোনা পরিস্থিতিতেও ভোটের নির্ঘণ্ট বদলাচ্ছে না কমিশন। শুক্রবার সর্বদল বৈঠকে দফা কমানোর ব্যাপারে সওয়াল করেছে শুধু তৃণমূল কংগ্রেস। দফা কমাতে সায় নেই সংযুক্ত মোর্চা ও বিজেপির। বৈঠকের শেষে বিজেপি নেতা স্বপন দাশগুপ্ত বলেন,'আগের নিয়ম মেনে চলা উচিত। আমরা ক্লাবিংয়ের পক্ষে নই।'


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

করোনার সংক্রমণ বাড়ায় শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করানোর দাবি করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ দিন সর্বদলে তৃণমূলের প্রতিনিধি পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,' অন্য রাজ্যে যেখানে এক বা তিন দফায় ভোট হচ্ছে, সেখানে এ রাজ্যে আট দফার ভোটে আমরা শুরুতেই বিস্মিত হয়েছিলাম। আমরা মানুষের জীবনকে মূল্যবান মনে করি। তিন দফার ভোট এক দফায় করা হলে মানুষের জীবন সুরক্ষিত থাকত। আমরা কমিশনে দাবি করেছি, কোভিড পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে শেষ তিন দফার ভোট একসঙ্গে করানো হোক।' তবে প্রচারের বহরে কোনও অপোষ করতে নারাজ পার্থ।    


শেষ পর্বে এসে প্রচারে বদল বা দফা কমানো হলে বাকি ভোটারদের 'অসুবিধাজনক' অবস্থায় পড়তে হবে বলে মনে করেন স্বপন দাশগুপ্ত (Swapan Dasgupta)। তিনি বলেন,'চার দফার নির্বাচনে সুস্থভাবে করার জন্য কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। পঞ্চম দফার নির্বাচন আগামিকাল। ৬১ শতাংশ ভোটার ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন। বাকি থাকবে ৩৯ শতাংশ। বাকি দফা মিলিয়ে দেওয়ার পক্ষে নই। আমরা কমিশনের কোভিড বিধি মেনে চলব। তবে এমন কিছু করা উচিত নয়, যাতে বাকি দফার ভোটাররা অসুবিধাজনক অবস্থায় পড়েন। ভার্চুয়াল প্রচার প্রথম থেকে হলে আপত্তি ছিল না।' এর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী যাতে পরিচয়পত্র দেখতে পারেন, তাও কমিশনকে বলে এসেছেন বিজেপি নেতারা। স্বপনের কথায়,'কোভিডের কারণে এবার লাইনগুলি আরও বেশি লম্বা হবে। আমরা ওদের নিয়ম দেখিয়ে বলেছি, কেন্দ্রীয় বাহিনী দেখতে পারে।'


সংযুক্ত মোর্চার তরফে সিপিএম নেতা বিকাশ ভট্টাচার্যের কথায়, 'বাকি দফাগুলি একসঙ্গে করে দেওয়া ইস্যু নয়। এখন নির্বাচন প্রক্রিয়া চলাকালীন তা সম্ভবও নয়। সূচি অনুযায়ী নির্বাচন হওয়া উচিত। প্রচারের কারণে কোভিড বেড়েছে এমন কোনও তথ্য আমার কাছে নেই। কুম্ভ মেলার জন্যে হয়েছে। আগে ওটা বন্ধ করা হোক।'   


কেন্দ্রীয় বাহিনী ছাড়া নির্বাচনে নারাজ কমিশন। গতকাল বিশেষ পুলিস পর্যবেক্ষক বিবেক দুবে স্পষ্ট বলেছিলেন,'ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম দফার ভোট একসঙ্গে করতে লাগবে ১৪০০ কোম্পানি অতিরিক্ত বাহিনী। তা নেই এ রাজ্যে। এত অল্প সময়ে বাইরে থেকে আনা সম্ভব নয়।'