ওয়েব ডেস্ক : এবার মাছ চাষেও বড় বিনিয়োগ টানার উদ্যোগ রাজ্যের । বিনিয়োগকারীদের উত্সাহ বাড়াতে দেওয়া হবে  ইনসেনটিভ। লক্ষ্য আয় বৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান। ভারী শিল্পের পর এবার মত্স্য শিল্পে নজর রাজ্যের । বড় বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ সুনিশ্চিত করতে ব্যবস্থা করা হচ্ছে ইনসেনসেটিভের।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

কর্মসংস্থানের পাশাপাশি বিদেশি মুদ্রা আমদানি বাড়াতেও উদ্যোগ রাজ্যের। চিংড়িসহ প্যাকেজিংয়ের মাধ্যমে শুকনো মাছ রফতানি করে আয় বাড়াতে চায় রাজ্য। আর সেকারণেই একদিকে বেসরকারি ও যৌথ উদ্যোগে মাছ চাষে বাড়তি ইনসেনটিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত।
বিনিয়োগের ওপর বড় উদ্যোগপতিদের ১৫ থেকে ৪০ শতাংশ ভর্তুকি দেবে রাজ্য। ছোট উদ্যোগের ক্ষেত্রে ১০ থেকে ৫০ শতাংশ। এছাড়া বিদ্যুতের ওপর কর ছাড় দেওয়া হবে। ছাড় দেওয়া হবে ভ্যাটেও। জমির চরিত্র পরিবর্তন সংক্রান্ত ফি মকুব করা হবে।


আরও পড়ুন- ঝাড়খণ্ড ও বঙ্গোপসাগরের ওপর ঘূর্ণাবর্ত; ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকায়


অন্যদিকে মাছ চাষ ছাড়াও মাছের খাবার, উন্নতমানের মীন তৈরি, কোল্ড স্টোরেজ, প্রসেসিং ইউনিট তৈরির ক্ষেত্রেও ইনসেনটিভ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্যের এই উদ্যোগের পেছনে মূলত দুটি উদ্দেশ্য রয়েছে...


১) মাছ চাষে স্বনির্ভর হওয়া। যাতে অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা মহারাষ্ট্র সহ ভিনরাজ্য থেকে মাছ আমদানি না করতে হয়। এরাজ্যে অনেক জলাশয় রয়েছে। যেগুলি ঠিকমত ব্যবহার হয়না। গরীব মতস্যজীবীদের পক্ষে তা সম্ভবও নয়। সেখানে লগ্নি এলে ভালভাবেই  করা যেতে পারে একাজ।


২) চিংড়ি সহ শুকনো মাছের বিদেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা মেটাতেই বাড়তি উত্পাদনের উদ্যোগ রাজ্যের।  


গত বছরে ফিস পলিসি বা মত্স্যনীতি ঘোষণা করেছে। এবার ওই নীতি অনুযায়ী প্রকল্প রূপায়ণের পথে হাঁটছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। মত্স্য দফতর সূত্রে খবর, বড় বিনিয়োগ ছাড়া আধুনিক মাছ চাষ সম্ভব নয়। সেকারণেই রাজ্যের বড় বিনিয়োগকারীদের কাছে লগ্নির আবেদন করছে সরকার।