সুতপা সেন: বিকল্প আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। দুয়ারে রেশন প্রকল্প কীভাবে চালু রাখা যায়? হাইকোর্টের রায়কে চ্য়ালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য। স্পেশাল লিভ পিটিশন দাখিল করা হল শীর্ষ আদালতে। রাজ্যের হয়ে মামলা লড়বেন কপিল সিব্বল।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

দোকানে গিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হবে না। একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে রেশন সামগ্রী বাড়িতে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রকল্পের নাম, 'দুয়ারে রেশন'। তৃতীয়বার মুখ্য়মন্ত্রীর কুর্সিতে বসার পর, রাজ্যে 'দুয়ারে রেশন'-র সূচনা করেন তিনি। শুধু তাই নয়, হোয়াটঅ্যাপ মারফৎ এই প্রকল্প নিয়ে অভিযোগ জানানোরও ব্যবস্থা করেছে সরকার।


এদিকে 'দুয়ারে সরকার' চালু হওয়ার পর হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন রেশন ডিলাররা। আদালতে তাঁরা জানান, নিয়ম অনুযায়ী দোকানে এসেই রেশন সামগ্রী নিতে হবে গ্রাহকদের। বাড়িতে রেশন সামগ্রী পৌঁছে দেওয়ার মতো পরিকাঠামো নেই রাজ্যে। গাড়ি ও প্রচারের খরচও বহন করা সম্ভব নয়। শেষপর্যন্ত মামলাটি অবশ্য খারিজ হয়ে যায় হাইকোর্টে সিঙ্গল বেঞ্চে।  তাহলে? হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে ধাক্কা খেয়েছে রাজ্য। বিচারপতি চিত্তরঞ্জন দাস ও বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চের রায়, খাদ্য সুরক্ষা আইনে দুয়ারে রেশনের বৈধতা নেই। বরং এই প্রকল্পটি  খাদ্যসুরক্ষা আইন ২০১৩-র বিরোধী। হাইকোর্টে সেই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করল সরকার। কারণ, দুয়ারে সরকার প্রকল্প চালু রাখতে বদ্ধপরিকর নবান্ন।


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: 'আমি তো চাই কারও চাকরি যেন না যায়'


এদিকে বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। ১ নভেম্বর থেকে ফের চালু হচ্ছে  'দুয়ারে সরকার'। সঙ্গে 'পাড়ায় সমাধান'ও। নবান্ন বসে জেলাশাসকদের সঙ্গে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি বৈঠকও সেরে নিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরেকৃষ্ণ দ্বিবেদী। বৈঠকে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয়ের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন তিনি। এবার 'দুয়ারে সরকার'-র ক্যাম্পে খাদ্যসাথী, জাতিগত শংসাপত্র, স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড, স্বনির্ভর গোষ্ঠীর ক্রেডিট কার্ড-সহ ২৫ সরকারি পরিষেবা পাবেন সাধারণ মানুষ। 


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)