পুজা মেহতা: ১৫ বছর পার। ন্যানো বিদায়ের পর এবার বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য। কীভাবে? টাটাকে কমপক্ষে ৭৬৬ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিল আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল। সঙ্গে ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ১১ শতাংশ হারে বার্ষিক সুদও।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন: MD Selim: 'স্টিরিওটাইপ ভাঙতেই' পাঞ্জাবি ছেড়ে ট্রেন্ডি কালো টি-শার্টে সেলিম


রাজ্যে তখন বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় বামেরা। স্লোগান উঠেছিল, 'কৃষি আমাদের ভিত্তি, শিল্প আমাদের ভবিষ্যৎ'। কিন্তু সিঙ্গুরের টাটাদের ন্যানো কারখানা তৈরির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রবল আন্দোলনের মুখে একলাখি গাড়ির কারখানা চলে গিয়েছিল গুজরাটে। 


২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদল ঘটে। মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে বসেই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে সিঙ্গুরে 'অনিচ্ছুক' কৃষকরা জমি ফেরত দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিঙ্গুরে ন্যানো হারানো ৬.৩২ একর জমিতে এখন  তৈরি করা হবে শিল্প তালুক।সেখানে শিল্প গড়তে চেয়ে রাজ্যের কাছে ইতিমধ্যেই রাজ্যের কাছে আবেদন করেছেন ১০ নতুন সংস্থা। নবান্নে সূত্রে তেমনই খবর। 


এদিকে ন্যানো বিদায়ের পর আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল মামলা করে টাটা মোটরস। ১৫ ধরে চলল শুনানি। অবশেষে টাটার পক্ষেই রায় দিল ৩ সদস্যের  আরবিট্রাল ট্রাইব্যুনাল।



কী প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক মহলে? সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'মুখ্যমন্ত্রী যা চাইছেন, তাই তো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর চাহিদার বাইরে তো অন্য কিছু হচ্ছে না। টাটার দুটি মামলা। প্রথম হচ্ছে ওই জমি ফেরত, চাষীদের হাতে দিতে হবে। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে কাগজপত্র যা তৈরি ছিল, সেগুলি যথাযথভাবে পেশ করলেন না। রাজ্য সরকার  মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে হারতে চাইল, সেকারণেই হারল'। সঙ্গে দাবি, 'টাটার বিরুদ্ধে, কৃষকদের পক্ষে, এই যে মিথ তৈরি করা হচ্ছিল, সেটা ভুল। আসলে টাটার পক্ষে, কৃষকদের পক্ষে নয়।


বিজেপি বিধায়ক শংকর ঘোষের মতে, 'আজকে এটা প্রমাণিত হল এই রায়ে যে, টাটাকে যে পথে বা যে পদ্ধতিতে বিদায় করা হয়েছে, সেটা ন্যায়সংগত হয়নি। আর্থিকভাবে ঝরাজীর্ণ এই সরকার এমনিতেই সংকটে রয়েছে। এই রায়ে রাজ্যের সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে'।


তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, 'আইনি ব্যাপার। যা মনে করেছে, দিয়েছে। লড়াইটা ছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সঙ্গে টাটা গোষ্ঠীর। এরপর সরকার চাইলে আরও উচ্চতর আদালতে যেতে পারে'। তাঁর দাবি,  টাটার এই ব্যাপারটা ছিল একটা রাজ্যের স্বাভিমান। তিন ফসলী জমি একটা শিল্পগোষ্ঠীকে দেওয়া হবে চাষীদের পেটে লাথি মেরে, এই প্রশ্নে ছিল। দীর্ঘ প্রভাব তৈরি হত চাষীদের মনে। সেটা টাকার অংকে মানা যায় না'।


আরও পড়ুন:  Dilip Ghosh: 'হাউ ইজ দ্য জোশ, দিলীপ ঘোষ'!



(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)