Opening of School: ধাপে ধাপে স্কুল খোলার ভাবনা রাজ্যের, ফেব্রুয়ারিতে শুরু `পাড়ায় শিক্ষালয়` প্রকল্প
এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু
নিজস্ব প্রতিবেদন: রাজ্যে করোনার দাপট ধীরে ধীরে কমছে। করোনার দ্বিতীয়(Covid Second Wave) ঢেউ চলে যাওয়ার পর নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন চালু করেছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু তৃতীয় ঢেউ আসতেই তা ফের বন্ধ করে দেওয়া হয়। এবার করোনার প্রকোপ যখন কমছে তখন ধাপে ধাপে স্কুল খোলার চিন্তভাবনা করেছে রাজ্য সরকার। এনিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই জানালেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু(Bratya Basu)।
স্কুল পড়য়াদের ভ্য়াকসিন(Covid Vaccine) দেওয়া হচ্ছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই স্কুল খোলার কথা ভাবছে সরকার। ব্রাত্য বসু বলেন, আমরা পুরো স্কুলই খুলতে চাইছি। মুখ্যমন্ত্রী(Mamata Banerjee) খোদ বিষয়টি পর্যালোচনা করছেন। অভিভাবকদের বলল, মুখ্যমন্ত্রী বিষয়টি যথেষ্ট দায়িত্ব নিয়ে বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছেন। যথা সময়ে এনিয়ে সিদ্ধান্ত জানানো হবে।
অন্যদিকে, বহুদিন ধরেই স্কুলে যেতে পারছে না রাজ্যের পড়ুয়ারা। বিশেষকরে নীচু ক্লাসের পড়ুয়ারা। একথা মাথায় রেখে এবার পাড়ায় পাড়ায় গিয়ে শিশুদের পড়ানোর একটি প্রকল্প চালু করছে রাজ্য সরকার। এটির নাম দেওয়া হয়েছে 'পাড়ায় শিক্ষালয়'। পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় পড়ানো হবে পড়ুয়াদের। শিশুদের সার্বিক উন্নয়নেই এই প্রকল্পের লক্ষ্য বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রী। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে চালু হচ্ছে ওই প্রকল্প। সরকারের আশা, প্রায় ৬০ লাখের বেশি ছাত্রছাত্রীকে ওই প্রকল্পের আওতায় আনা যাবে।
ব্রাত্য বসু আজ এনিয়ে বলেন, কোভিড বিধি মেনে পাড়ার কোনও খোলা জায়গায় যেখানে কোভিড সংক্রমণের সম্ভাবনা কম সেখানে প্রাথমিক শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিশুশিক্ষা কেন্দ্রের শিক্ষকরা শিশুদের পড়াবেন। মোট ৫০ হাজার ১৫৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ১৫ হাজার ৫৯৯টি শিশু শিক্ষা কেন্দ্রের ১.৮৪ লাখ প্রাথমিক শিক্ষক এই উদ্যোগে সামিল হবেন।
আরও পড়ুন-প্রয়াত চিত্রশিল্পী ওয়াসিম কাপুর, মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৭১ বছর
গত প্রায় ২ বছর স্কুল বন্ধ। নবম থেকে দ্বাদশ পর্যন্ত স্কুল খুললেও প্রাথমিক স্তরের পড়ুয়ার গত দুবছর ধরে স্কুলে পা রাখেনি। তাদের জন্যই মূলত এই উদ্যোগ। ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, ইউনিসেফও এই প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর উদ্যোগেই এমন পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ৫-১০ বছরের শিশুদের ওই প্রকল্পের আওতায় আনা হবে। পড়ার পরিবেশে শিশুদের ফিরিয়ে আনাই লক্ষ্য।
রাজ্যে ধাপে ধাপে স্কুল খোলার চিন্তাভাবনা নিয়ে বিশিষ্ট চিকিত্সক কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, আমি তো স্কুল খোলার পক্ষে। কেননা সব বিশেষজ্ঞ প্রতিষ্ঠানের দাবি স্কুল পড়ুয়াদের মধ্যে করোনার সংক্রমণ কম। আমাদের দেশের রিপোর্ট বলছে স্কুল পড়য়া একটি বড় অংশের মধ্যে অ্যান্টবডি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বড়রা অনেকেই ২ ডোজের ভ্যাকসিন পেয়েছি। তাই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা অনেকটাই কম।