পিয়ালি মিত্র: রাজ্য নির্বাচন কমিশনের দাবি মেনে নিল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করল কেন্দ্র। চিঠি দিয়ে একথা জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। মোট ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ ৭৩ কোম্পানি, বিএসএফ ১০০ কোম্পানি, সিআইএসএফ ৪০ কোম্পানি, আইটিবিপি ৩০ কোম্পানি, এসএসবি ৫০ কোম্পানি, আরপিএফ ৩০ কোম্পানি। অর্থাৎ মোট সিএপিএফ ৩২৩ কোম্পানি। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আর অন্য রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিস আসছে ১৬২ কোম্পানি। আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্নাটক, গুজরাট, গোয়া, তামিলনাড়ু, চণ্ডীগড়, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা থেকে আসছে সশস্ত্র বাহিনী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিন রাজ্যের বাহিনী আসছে বিহার থেকে। ৪০ কোম্পানি বাহিনী আসছে বিহার থেকে। এই বাহিনী জেলাশাসক ও জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী অফিসারকে রিপোর্ট করবে। প্রসঙ্গত, এর আগে ৩৩৭ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল। 


উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই করাতে হবে পঞ্চায়েত ভোট। সুপ্রিম নির্দেশ। সেই নির্দেশের পরই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চায় কমিশন। কমিশন প্রথমে চায় ২২ কোম্পানি বাহিনী। তারপর ৮০০ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি পাঠায়। কারণ, আদালতের স্পষ্ট নির্দেশ রয়েছে যে, ২০১৮ সালের চেয়ে বেশি ও পর্যাপ্ত বাহিনী রাখতে হবে। এখন কমিশনের ৮০০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে কেন্দ্র প্রথমে ৩১৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠায়। তারপর ফের আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী চেয়ে চিঠি দেয় কমিশন। সেই বাহিনী নিয়েই অনেক টালবাহানার পর শেষমেশ কমিশনের দাবি মানল কেন্দ্র। মোট ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে হতে চলেছে ভোট।


প্রসঙ্গত শনিবার এডিজি আইন-শৃঙ্খলা, ডিজি ও মুখ্যসচিবের সঙ্গে বৈঠকে বসেন রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয় যে, ভোটে রাজ্য পুলিস থাকবে ৬৫ হাজার। কলকাতা পুলিস থাকবে ১৫ হাজার। অর্থাত্ মোট ৮০ হাজার বাহিনী দেবে রাজ্য। সেক্ষেত্রে রাজ্যের তরফে পঞ্চায়েত ভোটে থাকছে ৮০০ কোম্পানি। এখন নতুন করে কেন্দ্র আরও ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনী পাঠানোয়, ভোটে মোট কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকছে ৮২২ কোম্পানি। সেক্ষেত্রে পঞ্চায়েত ভোটে মোট বাহিনীর সংখ্যা দাঁড়াতে চলেছে (৮০০+৮২২)= ১,৬২২ কোম্পানি। 


যদিও বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকবে কি থাকবে না, সেই নিয়ে এখনও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি কমিশন। বরং রাজ্য নির্বাচন কমিশনের বক্তব্য ঘিরে দেখা দিয়েছে ধোঁয়াশা। তুঙ্গে বিতর্ক। রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজিবা সিনহার বক্তব্য, এখন যে বাহিনী এসেছে, তা বর্তমানে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বজায় রাখার জন্য। ভোটের দিনের জন্য নয়। ভোটের দিন কী করা হবে, বাহিনীর ভূমিকা কী হবে, তা নিয়ে নির্বাচনের ৩ থেকে ৪ দিন আগে সিদ্ধান্ত  নেওয়া হবে। 


আরও পড়ুন, WB Panchayat Election 2023: হাইকোর্টে জোর ধাক্কা, নওশাদ সিদ্দিকির করা মামলায় কড়া অবস্থান আদালতের



(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)