WB Panchayat Election 2023: প্রত্যেক বুথে সশস্ত্র বাহিনী, মোট স্পর্শকাতর বুথ ৪৮৩৪! হাইকোর্টকে জানাল কমিশন
রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মোট বাহিনী দাঁড়াচ্ছে ৭০০০০ (রাজ্য বাহিনী) + ৬৫৭৬০ (কেন্দ্রীয় বাহিনী) = ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬০ বাহিনী। ৯৫ শতাংশ বুথেই বসানো থাকবে সিসিটিভি।
সুতপা সেন : পঞ্চায়েত ভোটের স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি। সব জেলার স্পর্শকাতর বুথের তালিকা তৈরি। রাজ্যের মোট ৬১ হাজার বুথের মধ্যে স্পর্শকাতর বুথ ৪,৮৩৪টি। অর্থাৎ, মোট বুথের ৭.৮ শতাংশ বুথ স্পর্শকাতর ঘোষণা কমিশনের। ভোটের দিন সমস্ত বুথে ১৪৪ ধারা জারি থাকবে। প্রত্যেক বুথে থাকবে সশস্ত্র বাহিনী। মোট ৬৬ হাজার সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েন থাকবে বুথে। স্পর্শকাতর বুথে থাকবে অতিরিক্ত বাহিনী। ভোট কেন্দ্রের বাইরে লাইন সামলাতে ব্যবহার করা হবে সিভিক ভলান্টিয়ারদের।
এখন রাজ্যের তরফে ভোটে দেওয়া হচ্ছে ৭০ হাজার বাহিনী। যার ৮৫ শতাংশ-ই ইতিমধ্যে জেলায় পৌঁছে গিয়েছে। এই ৭০ হাজার বাহিনী ও সঙ্গে কেন্দ্রের তরফে আগে পাঠানো ৩৩৭ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মূলত বুথ, এরিয়া ডমিনেশন ও নাকা চেকিংয়ে ব্যবহার করা হবে। মোট বাহিনীর মধ্যে ৮৫০০ মহিলাও থাকবে। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যের ৭০ হাজার সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গেই থাকছে ৮২২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। কারণ, কমিশনের দাবি মেনে নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। পঞ্চায়েত ভোটে রাজ্যে আরও ৪৬৫ কোম্পানি বাহিনী মোতায়েনের কথা চিঠি দিয়ে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। এখন ১ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনীতে থাকেন ৮০ জন। অর্থাৎ মোট ৬৫ হাজার ৭৬০ কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই হিসেব অনুযায়ী রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোটে মোট বাহিনী দাঁড়াচ্ছে ৭০০০০ (রাজ্য বাহিনী) + ৬৫৭৬০ (কেন্দ্রীয় বাহিনী) = ১ লাখ ৩৫ হাজার ৭৬০ বাহিনী।
কমিশন আরও জানিয়েছে, ৯৫ শতাংশ বুথেই বসানো থাকবে সিসিটিভি। সিসিটিভিতে চালানো হবে নজরদারি। ৫ শতাংশ বুথে ভিডিয়োগ্রাফিও করা হবে। এর সঙ্গেই কমিশন জানিয়েছে, ২২ জেলায় ২১ জন বিশেষ পর্যবেক্ষক নিয়োগ করা হবে। পাশাপাশি, ভোটে ২৩৮ জন সাধারণ পর্যবেক্ষক নিয়োগ কমিশনের। ডব্লিউবিসিএস পদমর্যাদার অফিসারদের পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ করা হবে। ভোটকর্মীদের তথ্য যাতে গোপন থাকে, তার জন্য এআইসি-কে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিনে হাইকোর্টে হলফনামা দিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানাল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
প্রসঙ্গত, মোট ৪৮৫ কোম্পানি বাহিনীর মধ্যে সিআরপিএফ ৭৩ কোম্পানি, বিএসএফ ১০০ কোম্পানি, সিআইএসএফ ৪০ কোম্পানি, আইটিবিপি ৩০ কোম্পানি, এসএসবি ৫০ কোম্পানি, আরপিএফ ৩০ কোম্পানি। অর্থাৎ মোট সিএপিএফ ৩২৩ কোম্পানি। আর অন্য রাজ্য থেকে সশস্ত্র পুলিস আসছে ১৬২ কোম্পানি। আসাম, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ত্রিপুরা, মিজোরাম, অরুণাচল প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, নাগাল্যান্ড, ছত্তিশগড়, পাঞ্জাব, রাজস্থান, হরিয়ানা, কর্নাটক, গুজরাট, গোয়া, তামিলনাড়ু, চণ্ডীগড়, কেরালা, অন্ধ্রপ্রদেশ ও তেলেঙ্গানা থেকে আসছে সশস্ত্র বাহিনী। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ভিন রাজ্যের বাহিনী আসছে বিহার থেকে। ৪০ কোম্পানি বাহিনী আসছে বিহার থেকে। এই বাহিনী জেলাশাসক ও জেলা পঞ্চায়েত নির্বাচনী অফিসারকে রিপোর্ট করবে।