নিজস্ব প্রতিবেদন: ফের কেন্দ্র-রাজ্য সংঘাত। সৌজন্যে প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনা। আয়ুষ্মান ভারতের মতো এই প্রকল্পে সামিল হচ্ছে না রাজ্য সরকার। আর তা নিয়ে নয়াদিল্লিতে বুধবার উষ্মাপ্রকাশ করলেন প্রকাশ জাভড়েকর। তার পাল্টা রাজ্য জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গের নিজস্ব প্রকল্প চালু রয়েছে। গোটা দেশে ৫ শতাংশ কৃষককেও সুবিধা দিতে পারেনি কেন্দ্র। কৃষকদের বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।         


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনায় তিনটি কিস্তিতে বছরে ৬ হাজার টাকা করে পান কৃষকরা। ইতিমধ্যেই ৬ হাজার কৃষক উপকৃত হয়েছেন দাবি করেছেন প্রকাশ জাভড়েকর। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গ এই প্রকল্পে সামিল হতে চাননি বলে অসন্তোষ গোপন করেননি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী। তাঁর কথায়, ''পশ্চিমবঙ্গের সিদ্ধান্তের জেরে বঞ্চিত হবেন সে রাজ্যের কৃষকরা।''  প্রধানমন্ত্রী কৃষি সম্মান নিধি যোজনায় আধার কার্ড সংযুক্তিকরণের সময়সীমা বাড়ানোর কথাও ঘোষণা করেছেন প্রকাশ জাভড়েকর। 



রাজ্যের পাল্টা দাবি, কেন্দ্রীয় সরকারের ঘোষণার অনেক  আগে থেকে রাজ্যে এমন প্রকল্প চালু রয়েছে। কৃষি অধিকর্তা প্রদীপ মজুমদার বলেন,''আমরা কৃষকবন্ধু প্রকল্পে বছরে ৫ হাজার টাকা করে কৃষক ও বর্গাদারদের দিই। কেন্দ্র সরকার নামেই প্রকল্প চালাচ্ছে। গোটা দেশে ৫ শতাংশ কৃষকও এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। অনেক রাজ্যই তাই প্রকল্পে সামিল হচ্ছে না। আমরা নিজেরাই প্রকল্প চালাব।'' বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের কথায়, ''এটাই প্রথম নয়। এর আগেও কেন্দ্রীয় প্রকল্প থেকে মানুষকে বঞ্চিত করেছে রাজ্য সরকার। গরিব কৃষকদের নিয়ে ভাবিত নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।'' 


লোকসভা ভোটের আগে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প নিয়েও সংঘাত হয়েছিল কেন্দ্র ও রাজ্যের। ভোটের প্রচারে নরেন্দ্র মোদী নিয়ম করে বলে গিয়েছিলেন, রাজ্য সরকার গরিবদের স্বাস্থ্য পরিষেবা থেকে বঞ্চিত করছে। বিজেপিও প্রচার করেছিল। পাল্টা তৃণমূল নেত্রী দাবি করেছিলেন, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প আগে থেকে চালু রয়েছে। আর রাজ্য যে প্রকল্পে ৬০ শতাংশ টাকা দিচ্ছে, সেখানে নরেন্দ্র মোদী নিজের মুখ দিয়ে প্রচার চালাচ্ছেন। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব নয়।     


আরও পড়ুন- কাল থেকে প্রতি মিনিটে কলচার্জ ৬ পয়সা, গ্রাহকদের জন্য টপআপ রিচার্জ আনল Jio