নিজস্ব প্রতিবেদন: একুশ আর বেশিদূর নেই। তার আগে কোন্দলে জেরবার বঙ্গ বিজেপি। মুরলিধর লেন ছাড়িয়ে অন্তর্কলহ এখন জনসমক্ষে। কাল ছিল বাবুল বনাম দিলীপ, আজ হয়ে গেল সুব্রত চট্টোপাধ্যায় বনাম কিশোর বর্মন। 


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

রাজ্যে এসেছেন রাসায়নিক ও সার প্রতিমন্ত্রী  মনসুখ মান্ডভিয়া। তাঁকে স্বাগত জানান বিজেপি নেতারা। সেই ছবি টুইট করেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়। ওই ছবিটি দেখে ফুঁসে ওঠেন তাঁর ডেপুটি কিশোর বর্মন। বিজেপির সংগঠন সহ-সাধারণ সম্পাদক টুইট করেন,''দুর্ভাগ্য আমার এই রাজ্য বিজেপির বিশেষ বৈঠকের কোনও খবর দেওয়া হয়নি  দুই সহ সংগঠন সাধারণ সম্পাদককে। আপনার টুইট থেকে জানলাম। ধন্যবাদ।'' 



টুইটারেই এমন প্রকাশ্যে লড়াই ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। পরে নিজের টুইটটি মুছে দেন কিশোর বর্মন। দিল্লি থেকে তাঁকে রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল।


দিন কয়েক আগে আরও একজনকে সহ সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের দায়িত্ব দেওয়া হয় সংগঠন সহ সাধারণ সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্তীকে। বিজেপি সূত্রে খবর, সুব্রত চট্টোপাধ্যায়ের একচ্ছত্র ক্ষমতায় ভাগ বসিয়েছেন অমিতাভ ও কিশোর। অমিতাভ চক্রবর্তী ও কিশোর বর্মন আগেও একসঙ্গে এবিভিপি-র কাজ করেছেন। স্বাভাবিকভাবে রাজনীতির সমীকরণ বুঝিয়ে দিচ্ছে, কিশোরের গোঁসার কারণ ঠিক কী।                             


নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বিরোধী আন্দোলনকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছিলেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর মন্তব্যের সমালোচনা করে বাবুল সুপ্রিয় টুইট করেন,''দিলীপ ঘোষ যা বলেছেন, তা নিয়ে দল হিসেবে বিজেপির কিছুই করার নেই। উত্তরপ্রদেশ, অসমে বিজেপি সরকার কখনও কারওর ওপর গুলি চালায়নি, তা সে যে কারণেই হোক না কেন। দিলীপদার এমন মন্তব্য অত্যন্ত দায়িত্বজ্ঞানহীন।'' তবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর বক্তব্য উড়িয়ে বলে দেন,''ভুল কিছু বলিনি। যা বলেছি দলীয় লাইন মেনেই।''


আরও পড়ুন-বঙ্গ বিজেপিতে দিলীপ বনাম 'অন্যান্য' প্রকাশ্যে! ধুনো দিলেন অভিষেক