ওয়েব ডেস্ক: বেশিরভাগ হাসপাতালে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা বেহাল। কী হাল  শহরের স্কুলগুলির?  দমকলের অগ্নি নির্বাপণ বিধি কতটা মেনে চলছে কলকাতার সরকারি স্কুলগুলি? ঘুরে দেখল ২৪ ঘণ্টা


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

তামিলনাড়ুর স্কুলে ভয়াবহ সেই আগুনের পর নড়চড়ে বসে এরাজ্যের দমকল দফতর। ভবিষ্যত দুর্ঘটনা এড়াতে জারি হয় একগুচ্ছ নির্দেশিকা।


স্কুলে অগ্নি নির্বাপণ বিধি-


১) প্রতিটি স্কুলে এমার্জেন্সি এক্সিট থাকতে হবে।


২) আপাতকালীন পরিস্থিতিতে বেরোনোর জন্য দুদিকে সিঁড়ি থাকতে হবে। সিঁড়ি হতে হবে কমপক্ষে ছফুট চওড়া।


আরও পড়ুন শম্ভুনাথ পণ্ডিত হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে আগুন


৩) স্কুল চত্বরে স্মোক ডিটেক্টর,ফায়ার অ্যালার্ম ও হাইড্রান্ট সিস্টেম থাকা বাধ্যতামূলক।


৪) পড়ুয়াদের জন্য মিড ডে মিল রান্না হলে, তা করতে হবে স্কুল চত্বরের বাইরে খোলা জায়গায়।


নিয়ম তো রয়েছে। কিন্তু, স্কুলগুলো আদৌ মানছে কি?


সরেজমিনে দেখতে আমরা বেরিয়ে পড়েছিলাম উত্তর কলকাতায়। প্রথম টার্গেট উল্টোডাঙার সর্বোদয় বিদ্যালয়। উল্টোডাঙার সর্বোদয় স্কুল। ছশো পড়ুয়ার প্রতিদিনের পড়াশোনা এই স্কুলে। অগ্নি নির্পাবণের ব্যবস্থার কী হাল? এমার্জেন্সি এক্সিট নেই। আপাতকালীন পরিস্থিতিতে স্কুল থেকে বেরোনোর সিঁড়িও একটাই। সেটাও একেবারেই সরু। আগুন লাগলে দুর্ঘটনার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ। অগ্নিনির্বাপণের বেহাল দশার কথা মানছেন স্কুলের ভারপ্রাপ্ত শিক্ষকও।


আরও পড়ুন আগুন লাগলে সামাল দিতে পারবে তো শহরের নামজাদা সরকারি হাসপাতালগুলি?


পরবর্তী গন্তব্য মানিকতলার সারদাপ্রসাদ ইন্সটিটিউশন। স্কুলের পড়ুয়া সংখ্যা ৮০০। করিডরে লাগানো রয়েছে ফায়ার এক্সটিংগুইসার কিন্তু, তা দু বছরের পুরনো। এমার্জেন্সি এক্সিটের অস্তিত্বই নেই। সিঁড়ির নীচে ডাঁই করে রাখা জিনিসপত্র। নিয়মকানুনের কোনওরকম তোয়াক্কা না করে স্কুলের মধ্যেই জ্বলছে দেদার স্টোভ।


স্কুলে অগ্নি নির্বাপণ যথাযথ আছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব দমকল বিভাগের। প্রতিবছর স্কুলগুলির দমকলের কাছ থেকে NOC  নেওয়া বাধ্যতামূলক। কিম্তু, সেসব নিয়মই রয়ে গেছে খাতায় কলমে। উদ্যোগী নয় স্কুল। আর কর্মী অভাবে ধুঁকতে থাকা দমকল বিভাগ নিধিরাম সর্দারের ভূমিকায়। তামিলনাড়ুর মতো বড়সড় কোনও দুর্ঘটনা না ঘটলে হয়তো টনক নড়বে না কোনওপক্ষেরই।