প্রবীর চক্রবর্তী: পঞ্চায়েত নির্বাচনে এখনওপর্যন্ত ভোটের দিনই সন্ত্রাসের বলি ১৫। বহু জায়গায় সংঘর্ষ, ব্যালট বাক্স চুরি, প্রার্থীকে মারধরের মতো ঘটনা ঘটেছে। তবে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশ্ন, যারা প্রাণ হারিয়েছে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী? রাজ্যে ৬১ হাজার বুথ। তার মধ্যে  ৭-৯টি বুথে বড় গন্ডগোল হয়েছে। যারা সন্ত্রাস করছে তারাই অভিযোগ করছে।


COMMERCIAL BREAK
SCROLL TO CONTINUE READING

আরও পড়ুন-কে কাকে গুলি করে মারবে, কে তার গ্যারান্টি দেবে: কমিশন


ভোটপর্বের একেবারে শেষদিকে সাংবাদিক সম্মেলন করে হিংসার জন্য বিরোধীদের দিকেই আঙুল তুললেন তৃণমূল নেতারা। মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, বিরোধী দল আমাদের বিরুদ্ধে প্রচুর কুত্সা, আপপ্রচার করেছে। তারা চেয়েছিলেন সুষ্ঠু নির্বাচন যেন না হয়। তার পরেও ১৩-১৪ জেলায় নির্বিঘ্নে ভোট হয়েছে। রাজ্যে বুথের সংখ্যা ৬১ হাজার ৫০০ শত ৩৯টি। তার মধ্যে ৬০টি বুথে ছোটবড় ঘটনা ঘটেছে। শতাংশটা হিসেব করে নিন। বিরোধীরা সেন্ট্রাল ফোর্স চেয়েছিল, বাহিনী এসেওছিল। তাদের ভূমিকা কী ছিল তার উপরে প্রশ্নচিহ্ন তৈরি হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রভাব খাটাচ্ছেন কোথায় ভোট দিতে হবে। কোনও মৃত্য়ুই কাম্য নয়। কিন্তু যেসব মৃত্যু হয়েছে তার ৬০ শতাংশের কাছাকাছি তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী।  


ভোটের হিংসা নিয়ে বিরোধীদের অভিযোগের বিরুদ্ধে সরব হন কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, রজ্যের ৬১ হাজারের বেশি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে ৭-৯টি বুথে বড়সড় গন্ডগোল, রক্তপাত হয়েছে। বাকী ৬০টি বুথে পাড়ায় পাড়ায় যেরকম গন্ডগোল হয় সেরকম হয়েছে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমরা বলছি মানুষ বিচ্ছিন্নভাবে কিছু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। কিছু বুথে বিচ্ছিন্ন কিছু অশান্তি ছাড়া উত্সবের মেজাজে পঞ্চায়েত ভোট হয়েছে। এত ছাপ্পা ভোট হলে,বা ভোট লুঠ হলে তো এতক্ষণে ৯০ শতাংশের উপর ভোট হয়ে যেত। বাস্তবে দেখা যাচ্ছে ভোট শতাংশ ৫০ শতাংশ। 


অন্যদিকে, ব্রাত্য বসু  বলেন, দিনহাটায় ব্যালটবক্সে জল ঢালল কারা? উত্তর ২৪ পরগনমার বাদুড়িয়ায় প্রক্সি ভোট দিল কারা? নদিয়ায় আমাদের প্রার্থী হাসিনা সুলতানাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ল কে? রানীনগর, ঘরগ্রাম, রোজিনগরে যারা মারা গেলে তাদের রাজনৈতিক পরিচয় কী? যারা মারা গিয়েছেন তাদের রাজনৈতিক পরিচয় থাকতে পারে না। মৃত্যুর ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে প্রায় প্রত্যেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বা তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী। একদিকে গৃহস্থকে বলা হচ্ছে সজাগ থাকতে। অন্যদিকে, চোরকে বলা হচ্ছে চুরি করতে। তারাই সন্ত্রাস করছে , তারাই অভিযোগ করছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী লাইনে এসে বলছে বিজেপিকে ভোট দিতে। তারপর তারাই গেল গেল রব তুলছেন। পুরনো স্মৃতি যারা ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করছেন তাদের এই কাণ্ড কি মানুষ মেনে নেবে? শশী পাঁজা বলেছেন, ৬১ হাজারের বেশি বুথ। তার মধ্য়ে ৭টির মতো বুথে ছোটবড় ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যু হয়েছে। এসব আমরা মোটেও চাই না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এরা তৃণমূল প্রার্থী বা কর্মী। কেন্দ্রীয়বাহিনী এল, ঘুরলো, প্রতিটি বুথে গেল । তার পর এই অবস্থা। চারটি দল একত্রিত হয়েছে। তারপর আমাদের মহামহিম রাজ্যপাল।


(Zee 24 Ghanta App দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির লেটেস্ট খবর পড়তে ডাউনলোড করুন Zee 24 Ghanta App)